ডিমডিহা (পুরুলিয়া), 28 ফেব্রুয়ারি : শিক্ষকের অভাবে পুরুলিয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক স্কুল ৷ যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ জেলা প্রশাসন এবং অভিভাবকদের কপালে ৷ এর আগে কাশীপুর থানা এলাকার মনতোড়িয়া জুনিয়র হাইস্কুল বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষকের অভাবে (Junior High Schools Closed in Purulia Due to Lack of Teacher) ৷ আর এবার পুরুলিয়ার 1নং ব্লকের ভুল গ্রামের ভুল জুনিয়র হাইস্কুল বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
করোনার জেরে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুলগুলি বন্ধ ছিল ৷ ফের স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে ৷ এনিয়ে খোঁজ নিতে ওই গ্রামে যায় ইটিভি ভারত ৷ খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে প্রায় 5 হাজার মানুষের বাস ৷ তিনটি বুথ, গ্রামে রয়েছে দু’টি প্রাইমারি স্কুল, আছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র । তবে নেই কোনও হাইস্কুল । সম্বল বলতে ছিল ওই জুনিয়র হাইস্কুলটি । সেটিও অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে বছর চারেক চালানো হয়েছিল ৷ তার পর আর নতুন করে শিক্ষক ওই স্কুলে না আসায় স্কুলটি আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে ৷ ওই গ্রামের বাসিন্দারা চাইছেন ফের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হোক ৷ চালু হোক স্কুলটি ৷
আরও পড়ুন : Bhabanipur Village Story : সেতুর আশায় মহানন্দা ও সুইয়ের মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দারা
ওই গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর মেহতা বলেন, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষকদের মেয়াদ ফুরানোর পর আর শিক্ষক না আসায় বন্ধ হয়ে গেছে স্কুলটি ৷ এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা চলে গিয়েছে নিকটবর্তী পুকুরগড়িয়া হাই স্কুলে ৷ আমরা চাই এই স্কুলটি পুনরায় চালু করা হোক ৷’’ এই বিষয়ে জানতে চাইলে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ডিমডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বাজারিপ্রসাদ কুইরি বলেন, ‘‘শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকার ফলেই বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷’’
এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পুরুলিয়া জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) গৌতমচন্দ্র মাল বলেন, ‘‘দু’জন অতিথি শিক্ষক দিয়ে স্কুলটি চলছিল ৷ কোনও স্থায়ী শিক্ষক ওখানে ছিল না ৷ অতিথি শিক্ষকরা অবসর নেওয়াতে আপাতত বন্ধ আছে স্কুলটি ৷ এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকা এলেই ফের চালু করা হবে স্কুলটি । কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে তো এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না ৷’’ তা হলে কি বিকল্প কোনও বা পার্শ্বশিক্ষক বা শিক্ষিকা দিয়ে স্কুলটিকে সচল রাখা যেত না ? এবিষয়ে কোনও উত্তর দিতে পারেননি তিনি ৷