পুরুলিয়া, 15 ডিসেম্বর: অতিরিক্ত পণের দাবিতে অত্যাচার তো ছিলই । সেই সঙ্গে একা পেয়ে মামাশ্বশুর জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইতেন ৷ তাই নিরুপায় হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এক গৃহবধূ । ঘটনাসূত্রে জানা গিয়েছে, 2013 সালে পাড়া থানার মাধবপুরের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পুরুলিয়া মফসস্বল থানার মহুদা গ্রামের ছেলের (Purulia Sexual Harassment Case) ৷
বিয়ের সময় নগদ দেড় লক্ষ টাকা, পাঁচ ভরি গয়না-সহ আরও আসবাবপত্র দেওয়ার পরেও 1 লক্ষ টাকা পণের দাবিতে অত্যাচার চলত, অভিযোগ ওই বধূর ৷ কন্যা সন্তান হওয়ার পর সেই অত্যাচার আরও বেড়ে যায় ৷ এই সব তো ছিলই, তার উপর মামা শ্বশুর কাজ থেকে অবসর পেলে নিজের বাড়ি না-গিয়ে ওই বধূর বাড়িতে চলে আসতেন ৷ মামা শ্বশুরের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গামারিয়াতে ৷
বধূর অভিযোগ, মামাশ্বশুর জল খেতে চাইতেন ৷ জল নিয়ে গেলেই তিনি বধূকে কুরুচিকর কথা বলতেন ৷ সুযোগ খুঁজতেন কীভাবে বধূকে স্পর্শ করা যায় ৷ তাতে বাধা দিলেও শুনতেন না মামা শ্বশুর ৷ এমনকী শাশুড়িকে বলেও কিছু লাভ হয়নি ৷ উলটে তিনি বধূর সম্পর্কে তাঁর স্বামীর কাছে খারাপ খারাপ কথা বলতেন ৷ এক্ষেত্রে স্বামীও পাশে দাঁড়ায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতা বধূ ৷
আরও পড়ুন: দশম শ্রেণির ছাত্রকে যৌন হেনস্থা, সহপাঠীদের বিরুদ্ধে অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ
স্বামী কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকতেন ৷ তাই মামা শ্বশুরের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তিনি স্বামীর সঙ্গে কর্মস্থলে থাকতে চাইলে তাতেও রাজি হননি স্বামী ৷ উলটে তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও অভিযুক্ত মামা শ্বশুর- সবাই মিলে তাঁকে মারধর করতেন ৷ এমনকী ওই বধূর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি পর্যন্ত দিতেন বলে অভিযোগ । বাধ্য হয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে বধূ এখন বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন ৷ কিন্তু তাঁর বাপের বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয় ৷ তাই সেখানেও কতদিন থাকতে পারবেন, সে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন নির্যাতিতা ৷ আপাতত স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও মামা শ্বশুরের নামে পুরুলিয়া মফঃস্বল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বধূ ৷