পুরুলিয়া, 30 মে : পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের গতকাল বিশেষ বৈঠক হয় ৷ এরপরই পুরুলিয়া শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে তৎপর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ৷ আজ সকাল থেকেই পুরুলিয়া শহরের প্রতিটি রাস্তায় বিদ্যুৎ মেরামতির কাজ করতে দেখা গেল বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাকর্মীদের ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুরুলিয়া শহর সহ পুরুলিয়া 1 ও 2 নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে ৷ সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বিদ্যুতের নতুন খুঁটি বসানো ও বিদ্যুতের তার সংযোগের কাজ তৎপরতার সঙ্গে শুরু করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাকর্মীরা ৷
প্রসঙ্গত, গত 27 মে দুপুর 3 টে থেকে টানা এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বজ্রবিদ্যুৎসহ ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয় ৷ আর তাতেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় পুরুলিয়া শহর, পুরুলিয়া 1 ও 2 নম্বর সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ৷ রাস্তার উপর ভেঙে পড়ে গাছ, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে, ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ৷ কয়েকটি কাঁচা বাড়িরও ক্ষয়ক্ষতি হয় ৷ নষ্ট হয় পুরুলিয়া শহর লাগোয়া এলাকার চাষের জমিও ৷ পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র, পুরুলিয়া জেলা আদালত চত্বর, জেলাশাসক দপ্তর, রাঁচি রোড, বরাকর রোড এলাকায় বহু গাছ ভেঙে পড়ে ৷ তবে, ঝড়বৃষ্টিতে জেলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি ৷ এই ঘটনার পরই পুরুলিয়া শহর, পুরুলিয়া 1 ও 2 নম্বর ব্লক এলাকাসহ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে ৷ এরপরই ময়দানে নেমে পড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ৷ রাস্তা থেকে সরানো হয় গাছ ৷
ভেঙে পড়া ট্রান্সফর্মার, বিদ্যুতের খুঁটি বসানো, তার সংযোগের কাজে নেমে পড়েন তাঁরা ৷ কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি ছিল যে টানা 2 দিন অবধি বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকে ৷ গতকাল পুরুলিয়া শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা ও পুরুলিয়া 1 নম্বর ও 2 নম্বর ব্লকের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয় ৷ কিন্তু আজও পর্যন্ত এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি ৷ এখনও পুরুলিয়া শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড এলাকায় ও পুরুলিয়া 1 ও 2 নম্বর ব্লকের কয়েকটি গ্রাম বিদ্যুৎহীন রয়েছে ৷
গতকাল এই মর্মে পুরুলিয়া জেলাশাসক দপ্তরে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির বিষয় ছাড়াও কোরোনা মোকাবিলা ও পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফেরানোর বিষয়েও আলোচনা করা হয় ৷ এই বৈঠকের পরই আজ সকালে আরও তৎপরতার সঙ্গে কাজে নেমে পড়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী ও ঠিকাকর্মীরা ৷ চলছে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো ও তার সংযোগের কাজ ৷ ঠিকাকর্মী নিতাই চট্টোপাধ্যায়, শরৎ চট্টোপাধ্যায়রা বলেন, " বর্তমানে লকডাউনের কারণে শ্রমিক কম রয়েছে ৷ কোরোনার আতঙ্কে কাজে আসতে চাইছেন না অনেক শ্রমিক ৷ তবুও জোর কদমে চলছে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ ৷ আজকের মধ্যেই বেশিরভাগ এলাকাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে যাবে ৷ "