ETV Bharat / state

প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল, মাস্ক ছাড়াই হাসপাতালে লাইন - COVID 19 Pandemic

হাসপাতালের প্রতিটি দেওয়ালে পোস্টার লাগানো হয়েছে ৷ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মাস্ক না পরে হাসপাতালের প্রবেশ নিষিদ্ধ ৷ হাসপাতাল নিরাপত্তারক্ষীদেরও নির্দেশ দেওয়া রয়েছে ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষ ফাঁকি দিয়ে মাস্ক ছাড়াই হাসপাতালে প্রবেশ করছেন ৷ যার ফলে বারছে সংক্রমণের আশঙ্কা ৷

পুরুলিয়া
পুরুলিয়া
author img

By

Published : Sep 1, 2020, 8:56 PM IST

পুরুলিয়া, 26 অগাস্ট : হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রবেশ করতে হলে মাস্ক বাধ্যতামূলক ৷ বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব ৷ কিন্তু এক শ্রেণির মানুষের থোরাই কেয়ার ৷ মাস্ক তো রয়েছে তবে তা মুখে না গলায় ৷ ওই ভাবেই ঘুরে বেরাচ্ছেন হাসপাতাল চত্ত্বরে ৷ পুরুলিয়া জেলা সদর হাসপাতাল চত্বরে স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করছেন রোগী ও রোগীর পরিবার পরিজনেদের একাংশ । মাস্ক না পড়ার কারণ জানতে চাইলে হাজারও অজুহাত ৷

পুরুলিয়া জেলার একমাত্র সদর হাসপাতাল, দেবেন মাহাত হাসপাতাল ৷ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালের আসেন । সকাল থেকেই ভিড় লেগে থাকে হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা কেন্দ্রে ৷ আর সেখানেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ৷ সামাজিক দূরত্বও যেন শিকেয় উঠেছে হাসপাতাল চত্বরে । কোরোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, মাস্ক পড়তে প্রতি মুহূর্তে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বিভিন্ন দেওয়ালে লাগানো হয়েছে পোস্টার ৷

এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছি ৷ হাসপাতালের প্রতিটি দেওয়ালে পোস্টার লাগানো হয়েছে ৷ সেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মাস্ক না পরে হাসপাতালের প্রবেশ নিষিদ্ধ ৷ হাসপাতাল নিরাপত্তারক্ষীদেরও নির্দেশ দেওয়া রয়েছে ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষ ফাঁকি দিয়ে মাস্ক ছাড়াই হাসপাতালে প্রবেশ করছেন ৷ আর যেহেতু পুরুলিয়া দেবেনমাহাত হাসপাতাল এক সময়ের জেলা হাসপাতাল ছিল সেহুতু রোগী সংখ্যাও বেশি ৷ সেই সঙ্গে হাসপাতাল চত্ত্বর গিঞ্জি হওয়ায় রোগী পরিবারের বসার জায়গা পর্যন্ত নেই ৷ ফলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ক্ষেত্রে জায়গার সমস্যা রয়েছে ৷"

এবিষয়ে জেলা শাসক রাহুল মজুমদারেক কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্বীকার করেন যে এখনও এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে সচেতনতার লক্ষণ নেই ৷ মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় বেরচ্ছেন ৷ তিনি বলেন, "বারবার প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পড়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও আমরা অনেক মানুষকে দেখছি মাস্ক গলায় নিয়ে ঘুড়ে বেরাচ্ছেন ৷ যেখানে মাস্ক পড়াটা বাধ্যতামূলক৷ যারা মাস্ক পড়ছেন না তাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি তো নিচ্ছেনই সেই সঙ্গে অন্যের জীবনের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছেন ৷" তবে এই পরিস্থিতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে ৷ বা জেলা প্রশাসনের তরফে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বা হবে সে বিষয়ে যদিও কিছুই বলেননি জেলা শাসক ৷

রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে 2 হাজার মানুষ কোরোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন ৷ সংক্রমণ রুখতে সপ্তাহে দুই দিন করে লকডাউন করছে রাজ্য সরকার ৷ জারি রয়েছে স্বাস্থবিধি ৷ রাস্তায় বেরলেই পড়তে হবে মাস্ক ৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব স্পষ্ট৷ বিভিন্ন জেলার একই চিত্র ৷ মুখে নেই মাস্ক, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ৷ যার জেরে বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা ৷ হাসপতাল চত্ত্বরেও দেখা যায় সেই একই চিত্র ৷

পুরুলিয়া, 26 অগাস্ট : হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রবেশ করতে হলে মাস্ক বাধ্যতামূলক ৷ বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব ৷ কিন্তু এক শ্রেণির মানুষের থোরাই কেয়ার ৷ মাস্ক তো রয়েছে তবে তা মুখে না গলায় ৷ ওই ভাবেই ঘুরে বেরাচ্ছেন হাসপাতাল চত্ত্বরে ৷ পুরুলিয়া জেলা সদর হাসপাতাল চত্বরে স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করছেন রোগী ও রোগীর পরিবার পরিজনেদের একাংশ । মাস্ক না পড়ার কারণ জানতে চাইলে হাজারও অজুহাত ৷

পুরুলিয়া জেলার একমাত্র সদর হাসপাতাল, দেবেন মাহাত হাসপাতাল ৷ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালের আসেন । সকাল থেকেই ভিড় লেগে থাকে হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা কেন্দ্রে ৷ আর সেখানেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ৷ সামাজিক দূরত্বও যেন শিকেয় উঠেছে হাসপাতাল চত্বরে । কোরোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, মাস্ক পড়তে প্রতি মুহূর্তে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বিভিন্ন দেওয়ালে লাগানো হয়েছে পোস্টার ৷

এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছি ৷ হাসপাতালের প্রতিটি দেওয়ালে পোস্টার লাগানো হয়েছে ৷ সেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মাস্ক না পরে হাসপাতালের প্রবেশ নিষিদ্ধ ৷ হাসপাতাল নিরাপত্তারক্ষীদেরও নির্দেশ দেওয়া রয়েছে ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষ ফাঁকি দিয়ে মাস্ক ছাড়াই হাসপাতালে প্রবেশ করছেন ৷ আর যেহেতু পুরুলিয়া দেবেনমাহাত হাসপাতাল এক সময়ের জেলা হাসপাতাল ছিল সেহুতু রোগী সংখ্যাও বেশি ৷ সেই সঙ্গে হাসপাতাল চত্ত্বর গিঞ্জি হওয়ায় রোগী পরিবারের বসার জায়গা পর্যন্ত নেই ৷ ফলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ক্ষেত্রে জায়গার সমস্যা রয়েছে ৷"

এবিষয়ে জেলা শাসক রাহুল মজুমদারেক কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্বীকার করেন যে এখনও এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে সচেতনতার লক্ষণ নেই ৷ মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় বেরচ্ছেন ৷ তিনি বলেন, "বারবার প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পড়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও আমরা অনেক মানুষকে দেখছি মাস্ক গলায় নিয়ে ঘুড়ে বেরাচ্ছেন ৷ যেখানে মাস্ক পড়াটা বাধ্যতামূলক৷ যারা মাস্ক পড়ছেন না তাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি তো নিচ্ছেনই সেই সঙ্গে অন্যের জীবনের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছেন ৷" তবে এই পরিস্থিতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে ৷ বা জেলা প্রশাসনের তরফে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বা হবে সে বিষয়ে যদিও কিছুই বলেননি জেলা শাসক ৷

রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে 2 হাজার মানুষ কোরোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন ৷ সংক্রমণ রুখতে সপ্তাহে দুই দিন করে লকডাউন করছে রাজ্য সরকার ৷ জারি রয়েছে স্বাস্থবিধি ৷ রাস্তায় বেরলেই পড়তে হবে মাস্ক ৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব স্পষ্ট৷ বিভিন্ন জেলার একই চিত্র ৷ মুখে নেই মাস্ক, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ৷ যার জেরে বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা ৷ হাসপতাল চত্ত্বরেও দেখা যায় সেই একই চিত্র ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.