ETV Bharat / state

Purulia Basanti Puja: সন্ন্যাসীর নির্দেশ আজও পালন করে পুরুলিয়ার গ্রাম ! - পুরুলিয়া

মঙ্গলবার থেকে পুরুলিয়ার নদীয়াড়া গ্রামে শুরু হল বাসন্তীপুজো (Purulia Basanti Puja) ৷ এই পুজোর নেপথ্যে রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন মিথ !

century old Basanti Puja for four days starts in a Purulia Village
বাসন্তীপুজো
author img

By

Published : Mar 28, 2023, 9:54 PM IST

এই পুজোর নেপথ্যে রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন মিথ

পুরুলিয়া, 28 মার্চ: ঢাকের বাদ্যি, সঙ্গে সানাইয়ের সুর ! গ্রামে ঢুকতেই কানে এল সুর-তালের অপূর্ব মেলবন্ধন ! মঙ্গলবার ছিল সপ্তমী ৷ এদিনই শুরু হল বাসন্তীপুজো ৷ পুরুলিয়ার নদীয়াড়া গ্রামের মানুষ এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেন বছরভর (Purulia Basanti Puja) ৷

এই পুজোয় সামিল হন না, আনন্দ করেন না, এমন মানুষ নদীয়াড়া গ্রামে মিলবে না ৷ আসলে এই পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আবেগ, ঐতিহ্য, মিথ ! এই পুজো গ্রামবাসীর তাই বড় প্রিয় ৷ তাঁদেরই প্রতিনিধি উপেন্দ্রনাথ পাল ৷ তিনি আবার গ্রামের পুজো কমিটির সদস্যও ৷ উপেন্দ্র জানালেন, বাপ-ঠাকুরদার মুখে পুজোর 'গল্প' শুনে বড় হয়েছেন তাঁরা ৷ সেই 'কাহিনি'র বয়স শতাধিক ! তাতে বলে, সেবার গ্রামে মড়ক লেগেছিল ৷ বসন্ত রোগে মানুষ মরছিল পঙ্গপালের মতো ৷ ক্রমে অসুখ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামে ৷ ভয়ে, আতঙ্কে প্রথমে এক সাধুর শরণাপন্ন হন গ্রামের মানুষ ৷ সেই সন্ন্যাসী তাঁদের বলেন, একমাত্র মহামায়াই পারেন তাঁদের রক্ষা করতে ৷ তিনি গ্রামবাসীকে যাবতীয় প্রথা মেনে বাসন্তীপুজো করার পরামর্শ দেন ৷

সাধুর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন গ্রামের মানুষ ৷ আর তাতেই যেন জাদু হয় ! নিমেষে গ্রাম থেকে উধাও হয় রোগ ! গ্রামবাসী আজও বিশ্বাস করেন, সেদিন মায়ের কৃপাতেই রক্ষা পেয়েছিলেন তাঁদের পূর্বপুরুষরা ৷ তাই আজও যাবতীয় নিয়ম মেনে, নিষ্ঠা ভরে বাসন্তীপুজো করেন তাঁরা ৷ পুজো হয় চারদিন ৷ সপ্তমী থেকে দশমী ৷ দশমীতেই দেবী বিসর্জন যান ৷

আরও পড়ুন: ফের একবার ছৌ নাচে সেরা বাংলা ! জাতীয় শিল্পীর তকমা পেলেন পুরুলিয়ার ধর্মেন্দ্র

পুজোর দিনগুলোয় গ্রামে কারও বাড়িতে আমিষ খাবার রান্না করা বা খাওয়া হয় না ৷ থাকে মনোরঞ্জনের নানা বন্দোবস্ত ৷ যাত্রাপালা বসে, ভক্তিমূলক গান হয়, আরও কত কী ! সেসব দেখতে হাজির হন বহু মানুষ ৷ আশপাশের গ্রাম তো বটেই, দূর-দূরান্ত থেকেও আসেন ভক্তরা ৷ অনেকেই মায়ের কাছে পুজো দেন ৷ মানত করেন ৷ কথিত আছে, মা নাকি কাউকে নিরাশ করেন না ৷ একমনে মাকে ডাকলে সকলেরই মনোস্কামনা পূর্ণ হয় ৷ পুজো ঘিরে এই চারটে দিন পুরুলিয়ার নদীয়াড়া গ্রাম যেন মহামিলনক্ষেত্রে পরিণত হয় ৷ সেই আয়োজনের সাক্ষী থাকল ইটিভি ভারতও ৷ পাঠক ও দর্শকদের জন্য রইল পুজোর ঝলক !

এই পুজোর নেপথ্যে রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন মিথ

পুরুলিয়া, 28 মার্চ: ঢাকের বাদ্যি, সঙ্গে সানাইয়ের সুর ! গ্রামে ঢুকতেই কানে এল সুর-তালের অপূর্ব মেলবন্ধন ! মঙ্গলবার ছিল সপ্তমী ৷ এদিনই শুরু হল বাসন্তীপুজো ৷ পুরুলিয়ার নদীয়াড়া গ্রামের মানুষ এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেন বছরভর (Purulia Basanti Puja) ৷

এই পুজোয় সামিল হন না, আনন্দ করেন না, এমন মানুষ নদীয়াড়া গ্রামে মিলবে না ৷ আসলে এই পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আবেগ, ঐতিহ্য, মিথ ! এই পুজো গ্রামবাসীর তাই বড় প্রিয় ৷ তাঁদেরই প্রতিনিধি উপেন্দ্রনাথ পাল ৷ তিনি আবার গ্রামের পুজো কমিটির সদস্যও ৷ উপেন্দ্র জানালেন, বাপ-ঠাকুরদার মুখে পুজোর 'গল্প' শুনে বড় হয়েছেন তাঁরা ৷ সেই 'কাহিনি'র বয়স শতাধিক ! তাতে বলে, সেবার গ্রামে মড়ক লেগেছিল ৷ বসন্ত রোগে মানুষ মরছিল পঙ্গপালের মতো ৷ ক্রমে অসুখ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামে ৷ ভয়ে, আতঙ্কে প্রথমে এক সাধুর শরণাপন্ন হন গ্রামের মানুষ ৷ সেই সন্ন্যাসী তাঁদের বলেন, একমাত্র মহামায়াই পারেন তাঁদের রক্ষা করতে ৷ তিনি গ্রামবাসীকে যাবতীয় প্রথা মেনে বাসন্তীপুজো করার পরামর্শ দেন ৷

সাধুর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন গ্রামের মানুষ ৷ আর তাতেই যেন জাদু হয় ! নিমেষে গ্রাম থেকে উধাও হয় রোগ ! গ্রামবাসী আজও বিশ্বাস করেন, সেদিন মায়ের কৃপাতেই রক্ষা পেয়েছিলেন তাঁদের পূর্বপুরুষরা ৷ তাই আজও যাবতীয় নিয়ম মেনে, নিষ্ঠা ভরে বাসন্তীপুজো করেন তাঁরা ৷ পুজো হয় চারদিন ৷ সপ্তমী থেকে দশমী ৷ দশমীতেই দেবী বিসর্জন যান ৷

আরও পড়ুন: ফের একবার ছৌ নাচে সেরা বাংলা ! জাতীয় শিল্পীর তকমা পেলেন পুরুলিয়ার ধর্মেন্দ্র

পুজোর দিনগুলোয় গ্রামে কারও বাড়িতে আমিষ খাবার রান্না করা বা খাওয়া হয় না ৷ থাকে মনোরঞ্জনের নানা বন্দোবস্ত ৷ যাত্রাপালা বসে, ভক্তিমূলক গান হয়, আরও কত কী ! সেসব দেখতে হাজির হন বহু মানুষ ৷ আশপাশের গ্রাম তো বটেই, দূর-দূরান্ত থেকেও আসেন ভক্তরা ৷ অনেকেই মায়ের কাছে পুজো দেন ৷ মানত করেন ৷ কথিত আছে, মা নাকি কাউকে নিরাশ করেন না ৷ একমনে মাকে ডাকলে সকলেরই মনোস্কামনা পূর্ণ হয় ৷ পুজো ঘিরে এই চারটে দিন পুরুলিয়ার নদীয়াড়া গ্রাম যেন মহামিলনক্ষেত্রে পরিণত হয় ৷ সেই আয়োজনের সাক্ষী থাকল ইটিভি ভারতও ৷ পাঠক ও দর্শকদের জন্য রইল পুজোর ঝলক !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.