ETV Bharat / state

বিনামূল্যের নিশ্চয়যানে টাকা লাগছে পুরুলিয়ায় ! - পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল

পুরুলিয়া জেলার একমাত্র সরকারি প্রসূতি হাসপাতাল হল পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল । তাই সেখানে প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের পরিবহনের জন্য নিশ্চয়যানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে । এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির একবারে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা । কিন্ত অর্থ না দিলে কোনও নিশ্চয়যানই যেতে চায় না বলে অভিযোগ ।

ambulance
নিশ্চয়যান অ্যাম্বুলেন্স
author img

By

Published : Aug 13, 2020, 9:46 PM IST

পুরুলিয়া, 13 অগাস্ট : নিয়ম বলছে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দিতে হবে ৷ কিন্তু কথায় আর কাজে যেন আকাশ-জমিন ফারাক ৷ অভিযোগ, প্রসূতি ও তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলেছেন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের নিশ্চয়যান চালকরা । প্রসূতি ও এক বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা থাকলেও তা মেলে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে । সদ্যোজাতদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা । টাকা না দিলে পরিষেবা দিতে সাফ মানা করে দেন নিশ্চয়যান চালকরা । বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েই যেতে হয় বলে অভিযোগ প্রসূতি ও তাদের আত্মীয়দের ।


পুরুলিয়া জেলার একমাত্র সরকারি প্রসূতি হাসপাতাল হল পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল । তাই সেখানে প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের পরিবহনের জন্য নিশ্চয়যানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে । পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে প্রায় 40টি নিশ্চয়যান অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিয়ে থাকে । এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির একবারে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা । অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে লেখাও রয়েছে "প্রসূতি, নবজাতক ও এক বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা" । কিন্ত অর্থ না দিলে কোনও নিশ্চয়যানই যেতে চায় না বলে অভিযোগ ।

purulia sadar hospital
হাসপাতালে অপেক্ষারত প্রসূতিরা
প্রসূতি পদ্মাবতী মাহাত, সখী মাহাত, পুরুলিয়া 1 নম্বর ব্লকের কোটলুই গ্রাম থেকে আসা অন্য এক প্রসূতির আত্মীয় বগল কুমার নিশ্চয়যান অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তোলেন । তাঁরা বলেন, "হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান নিশ্চয়যান অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে । সেইমতো একটি লিখিত কাগজও দিয়েছে । কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালকরা যখন যেমন টাকার দাবি করছে । কেউ চাইছে 250 টাকা, কেউ 100 টাকা আবার কেউ 300 টাকা পর্যন্ত দাবি করছে । সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছি ৷ কিন্তু কোনও চালকই টাকা ছাড়া নিয়ে যেতে চাইছে না। আর আমাদের এই পরিস্থিতিতে এখন টাকা দেওয়ার সামর্থ্যও নেই । কোথায় অভিযোগ করব, কাকে জানাব তা বুঝে উঠতে পারছি না । কিন্তু বাড়ি তো যেতেই হবে। শেষে টাকা দিয়েই যেতে হবে।"
প্রসূতিদের কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগ
যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের নিশ্চয়যান অ্যাম্বুলেন্স চালকরা । অ্যাম্বুলেন্স চালক রাজু সিংহ বলেন, "এই হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকরা টাকার দাবি কোনওদিন করেনি । হয়তো হাসপাতালের কোনও দালাল এই ধরনের কাজ করে থাকতে পারে ।

এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুকমল বিষয়ি বলেন, "অ্যাম্বুলেন্স চালকরা টাকা নিচ্ছে, এধরনের কোনও অভিযোগ আমার কাছে আসেনি । যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে নিশ্চয় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব ।"

পুরুলিয়া, 13 অগাস্ট : নিয়ম বলছে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দিতে হবে ৷ কিন্তু কথায় আর কাজে যেন আকাশ-জমিন ফারাক ৷ অভিযোগ, প্রসূতি ও তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলেছেন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের নিশ্চয়যান চালকরা । প্রসূতি ও এক বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা থাকলেও তা মেলে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে । সদ্যোজাতদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা । টাকা না দিলে পরিষেবা দিতে সাফ মানা করে দেন নিশ্চয়যান চালকরা । বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েই যেতে হয় বলে অভিযোগ প্রসূতি ও তাদের আত্মীয়দের ।


পুরুলিয়া জেলার একমাত্র সরকারি প্রসূতি হাসপাতাল হল পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল । তাই সেখানে প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের পরিবহনের জন্য নিশ্চয়যানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে । পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে প্রায় 40টি নিশ্চয়যান অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিয়ে থাকে । এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির একবারে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা । অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে লেখাও রয়েছে "প্রসূতি, নবজাতক ও এক বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা" । কিন্ত অর্থ না দিলে কোনও নিশ্চয়যানই যেতে চায় না বলে অভিযোগ ।

purulia sadar hospital
হাসপাতালে অপেক্ষারত প্রসূতিরা
প্রসূতি পদ্মাবতী মাহাত, সখী মাহাত, পুরুলিয়া 1 নম্বর ব্লকের কোটলুই গ্রাম থেকে আসা অন্য এক প্রসূতির আত্মীয় বগল কুমার নিশ্চয়যান অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তোলেন । তাঁরা বলেন, "হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান নিশ্চয়যান অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে । সেইমতো একটি লিখিত কাগজও দিয়েছে । কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালকরা যখন যেমন টাকার দাবি করছে । কেউ চাইছে 250 টাকা, কেউ 100 টাকা আবার কেউ 300 টাকা পর্যন্ত দাবি করছে । সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছি ৷ কিন্তু কোনও চালকই টাকা ছাড়া নিয়ে যেতে চাইছে না। আর আমাদের এই পরিস্থিতিতে এখন টাকা দেওয়ার সামর্থ্যও নেই । কোথায় অভিযোগ করব, কাকে জানাব তা বুঝে উঠতে পারছি না । কিন্তু বাড়ি তো যেতেই হবে। শেষে টাকা দিয়েই যেতে হবে।"
প্রসূতিদের কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগ
যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের নিশ্চয়যান অ্যাম্বুলেন্স চালকরা । অ্যাম্বুলেন্স চালক রাজু সিংহ বলেন, "এই হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকরা টাকার দাবি কোনওদিন করেনি । হয়তো হাসপাতালের কোনও দালাল এই ধরনের কাজ করে থাকতে পারে ।

এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুকমল বিষয়ি বলেন, "অ্যাম্বুলেন্স চালকরা টাকা নিচ্ছে, এধরনের কোনও অভিযোগ আমার কাছে আসেনি । যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে নিশ্চয় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.