তমলুক, 13 মার্চ : পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত 10 জন নেতাকে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ শনিবার জেলার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে তৃণমূলের দায়িত্বে থাকা 10 জন তৃণমূল নেতাকে সাসপেন্ড করার কথা জানান জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র । এদিন বিকেলে তিনি বলেন, ‘‘দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তৃণমূলের 10 জন সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । আমাদের দল থেকে নির্বাচনী প্রতিনিধিরা বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন । তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়ে আমরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম । রাজ্যের অনুমোদন আসতেই এই দশজন তৃণমূলের সদস্যদের দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ।’’
যাঁদের সাসপেন্ড করা হল, তাঁরা হলেন - শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা, মারুল-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সুনীল দেবাধিকারী, রঘুনাথপুর-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিলাদিত্য আদক, রামদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিকুঞ্জবিহারী মান্না, মিনতি পট্টনায়ক, দেবনাথ দাস, জেলা পরিষদের সদস্য তনুশ্রী জানা, জেলা পরিষদের সদস্য রাখি আদক, নীলিমা দেবাধিকারী এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বিভাস কর ।
দিবাকর জানা বলেন, ‘‘যদি সাসপেন্ড কাউকে করতে হয়, তাহলে নেত্রীর কাছে আবেদন সৌমেন মহাপাত্রকে সাসপেন্ড করা উচিত । কারণ, 2016 সালে আমাদের এই কেন্দ্রে নির্বেদবাবু দাঁড়িয়েছিলেন । উনি পিংলা চলে গিয়েছিলেন । আজকে যাঁদের পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন, তাঁদের দিয়ে শিক্ষিত ভদ্রলোককে হারানো হয়েছিল । এবং সিপিএমকে জেতানো হয়েছিল । এই ঘটনাটা আমাদের এলাকার সবাই জানে । সৌমেন মহাপাত্রকে আমরা পাঁচ বছরের জন্য সাসপেন্ড করবো । সৌমেন মহাপাত্র হারবেন বলেই এখন ভূত দেখছেন । আমরা রাজনীতির লোক । আমাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ পরবর্তীকালে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেব ।’’
আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে শেষ করতেই নন্দীগ্রামে মমতা, বিস্ফোরক শিশির
তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই 10 জন তৃণমূলের সৈনিক সাসপেন্ডের পর কি বিজেপিতে যোগ দেবেন ? সেই প্রশ্নের উত্তরের জন্য আপাতত অপেক্ষা করতেই হবে ৷