নন্দীগ্রাম, 18 মার্চ : ভোটের প্রচারে রেয়াপাড়া থেকে গাংরার দিকে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু ৷ সেই সময় সোনাচূড়ার কাছে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল মারার অভিযোগ ওঠে ৷ অভিযোগ দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই তৃণমূল আশ্রিত ৷ শুভেন্দুকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগানও ওঠে বলে অভিযোগ ৷ যদিও শুভেন্দুর দাবি, এই ধরনের কোনও স্লোগানের উঠেছে বলে তিনি শুনতে পাননি ৷
এদিকে শুভেন্দুর কনভয় সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই উত্তেজনা বাড়ে ৷ সংঘর্ষ বাধে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ৷ দু'পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হন ৷ প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট 6 জন জখম হয়েছেন গোটা ঘটনায় ৷ তাঁদের মধ্যে দু'জন তৃণমূল এবং চারজন বিজেপির কর্মী ৷
আরও পড়ুন : কেন্দ্রে এখন বেচুবাবুর সরকার, লোকসভায় কটাক্ষ সৌগতর
রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাটি নিয়ে ডিজির কাছে অভিযোগ করেছেন ৷ বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি ৷ বলেন, " জঙ্গলের রাজ চলছে ৷ তবে এতে আটকানো যাবে না ৷" একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কিছু মানুষকে উস্কে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলেও দাবি শুভেন্দুর ৷
বাংলায় এখন সবথেকে হাই ভোল্টেজ বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম ৷ মমতা নিজে লড়ছেন নন্দীগ্রাম থেকে ৷ আর তাঁর বিপরীতে বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতার একসময়ের বিশ্বস্ত সেনাপতি শুভেন্দু ৷ নন্দীগ্রামের লড়াইটা এবার দুই প্রার্থীর জন্যই প্রেস্টিজ ফাইট ৷ কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ ৷ আর তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে নন্দীগ্রামের মাটিতে ৷ বাড়ছে ভোটের উত্তাপ ৷ আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ৷ রক্তক্ষয় ৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলছেন, প্রেস্টিজ ফাইটে এবার মমতা-শুভেন্দু, দু'জনকেই বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে ৷ গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে নির্বাচন কমিশনও ৷ এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমান কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে ৷ আজও উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোনাচূড়া এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ৷