ভগবানপুর, 20 অগাস্ট : অমাবস্যায় কোটালের চাপ ছিলই ৷ তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ ৷ এই দুইয়ের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূল এলাকার গ্রামগুলো প্লাবিত। ভগবানপুর দুই নম্বর ব্লকের বরোজ গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ এখানকার ঘোলাবাগদা, পাউশি, বোরোজ-সহ রামনগর বিধানসভা এলাকায় সমুদ্র উপকূলবর্তী চাঁদপুর, তাজপুর, শংকরপুর, জলদা, জামুয়া, সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের কারণে প্লাবিত হয়েছে । যার ফলে গ্রামের পুকুর চাষ, জমি, ঘরবাড়িতে সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে যাওয়ার কারণে ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে গ্রামবাসীদের। ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে প্রায় 500 পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। এবং দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য পাথর ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমতি মাঝি বলেন, "গত তিনদিন ধরে গ্রামের ভিতরে সমুদ্রের নোনা জল ঢুকছিল। কিন্তু আজ সবথেকে বেশি জল ঢুকেছে। ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।" রামনগর বিধানসভার বিধায়ক অখিল গিরিকে জিজ্ঞাসা করা হয়,''বেশ কয়েকটি গ্রামে সমুদ্রের জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে ৷'' শুনে মেজাজ হারিয়ে বলেন," জলোচ্ছ্বাস হয়েছে ৷ কিন্তু কোনও গ্রামে জল তেমন ঢোকেনি । আমি বিকেলে যাব পরিদর্শনে। যা কিছু দেখার স্থানীয় প্রধান করবে।"
তালগাচারি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বজিৎ জানা বলেন, "বেশ কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে গ্রামগুলো । আমরা গ্রামের লোকজনদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে এনেছি ।" রামনগর এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র বলেন,"সকাল থেকেই আমি এলাকায় ছিলাম। এলাকার প্রায় 500 পরিবারকে আইলা সেন্টারে নিয়ে এসে রাখা হয়েছে । তাঁদের জন্য খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং সেচ দপ্তরকে দ্রুত বাঁধ মেরামত করার জন্য জানানো হয়েছে।" ইতিমধ্যে বাঁধ মেরামতের জন্য ব্ল্যাকস্টোন ফেলার কাজ শুরু হয়েছে । বাঁধ মেরামতের জন্য ব্ল্যাক স্টোন ফেলার কাজ শুরু হয়েছে ।