ETV Bharat / state

বাড়ি থেকে তাড়াল ছেলেরা, বৃদ্ধ দম্পতির ঠাইঁ রাস্তার দোকানে - two detained in contai

বাড়ি সহ 45 ডেসিমেল জমি লিখিয়ে নিয়ে বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে আটক দুই ছেলে ৷ ঘটনাস্থান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার কুদভেড়ি গ্রাম ৷ গতসন্ধ্যা থেকে ঘরছাড়া বৃদ্ধ ওই দম্পতি ৷ স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ও মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান বৃদ্ধ এই দম্পতি ।

বৃদ্ধ বাবা-মাকে জমি সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগে আটক 2
author img

By

Published : Nov 12, 2019, 1:56 PM IST

কাঁথি, 12 নভেম্বর : ছেলেরা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে ৷ রাস্তার একটি দোকানে রাত কাটল বৃদ্ধ দম্পতির ৷ অভিযোগ, তিন ছেলে সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার পর বাড়ি থেকে বের করে দেয় দম্পতিকে ৷ কাঁথি থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি দোকানে বসে রাত কাটান ওই দম্পতি ৷ এরপর সকালে গাছের নিচে আশ্রয় নেন তাঁরা ৷ স্থানীয় কয়েকজনের নজরে আসে বিষয়টি ৷ তাঁদের সহযোগিতায় পুলিশ ও মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান ননিগোপাল দাস ও তাঁর স্ত্রী গৌরী দাস ৷

মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য কাঁথি থানার IC-কে নির্দেশ দেন এই বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ৷ পাশাপাশি অভিযুক্ত তিন ছেলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয় ।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার কুদভেড়ি গ্রামে বাড়ি ননিগোপাল বাবুর । তাঁর তিনছেলেই রোজগার করেন ৷ বড় ছেলে রবীন্দ্র দাস রাজমিস্ত্রি ৷ মেজো ছেলে শচীন্দ্র ভারতীয় সেনা বিভাগে কর্মরত ৷ আর ছোটো ছেলে হরেন্দ্র হোটেলকর্মী । জানা গেছে, গৌরীদেবীর সুগার রয়েছে । ননিগোপাববাবুর শরীরের অবস্থাও তেমন ভালো নয় ৷

ভিডিয়োয় দেখুন কী বলছেন বৃদ্ধ দম্পতি

ওই দম্পতির অভিযোগ, তিন ছেলে তাঁদের কাছ থেকে বাড়িসহ 45 ডেসিমল জমি লিখিয়ে নেওয়ার পর তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেয় । তিনি বলেন, "প্রায় তিন বছর আগে ছেলেদের কথা মতো কিছু সম্পত্তি ওদের লিখে দিয়েছিলাম । এরপর ওরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে ৷ তখন গ্রামে সালিশি সভা ডেকে আমাকে আলাদা থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় । তাঁদের কথা মতো আমরা আলাদা থাকতে শুরু করি । বাড়ির একটা ঘরে আমরা বুড়োবুড়ি রান্না করে খেতাম ও থাকতাম । রবিবার ছোটো ছেলে ও বউমা ওই ঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডারসহ সব জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দেয় ও বাড়ি থেকে বের করে দেয় ৷ তাঁদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয় ।"

মহকুমা শাসক বৃদ্ধ দম্পতির থেকে সব জানার পর পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন । কাঁথি থানার পুলিশ বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে দিয়ে আসে । বড় ছেলে রবীন্দ্র দাস ও ছোটো ছেলে হরেন্দ্র দাসকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ সম্পত্তি লিখিয়ে নিজের বৃদ্ধ ও অসুস্থ বাবা-মাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর অভিযোগে আটক করা হয় ওই দুজনকে ।

কাঁথি, 12 নভেম্বর : ছেলেরা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে ৷ রাস্তার একটি দোকানে রাত কাটল বৃদ্ধ দম্পতির ৷ অভিযোগ, তিন ছেলে সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার পর বাড়ি থেকে বের করে দেয় দম্পতিকে ৷ কাঁথি থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি দোকানে বসে রাত কাটান ওই দম্পতি ৷ এরপর সকালে গাছের নিচে আশ্রয় নেন তাঁরা ৷ স্থানীয় কয়েকজনের নজরে আসে বিষয়টি ৷ তাঁদের সহযোগিতায় পুলিশ ও মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান ননিগোপাল দাস ও তাঁর স্ত্রী গৌরী দাস ৷

মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য কাঁথি থানার IC-কে নির্দেশ দেন এই বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ৷ পাশাপাশি অভিযুক্ত তিন ছেলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয় ।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার কুদভেড়ি গ্রামে বাড়ি ননিগোপাল বাবুর । তাঁর তিনছেলেই রোজগার করেন ৷ বড় ছেলে রবীন্দ্র দাস রাজমিস্ত্রি ৷ মেজো ছেলে শচীন্দ্র ভারতীয় সেনা বিভাগে কর্মরত ৷ আর ছোটো ছেলে হরেন্দ্র হোটেলকর্মী । জানা গেছে, গৌরীদেবীর সুগার রয়েছে । ননিগোপাববাবুর শরীরের অবস্থাও তেমন ভালো নয় ৷

ভিডিয়োয় দেখুন কী বলছেন বৃদ্ধ দম্পতি

ওই দম্পতির অভিযোগ, তিন ছেলে তাঁদের কাছ থেকে বাড়িসহ 45 ডেসিমল জমি লিখিয়ে নেওয়ার পর তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেয় । তিনি বলেন, "প্রায় তিন বছর আগে ছেলেদের কথা মতো কিছু সম্পত্তি ওদের লিখে দিয়েছিলাম । এরপর ওরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে ৷ তখন গ্রামে সালিশি সভা ডেকে আমাকে আলাদা থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় । তাঁদের কথা মতো আমরা আলাদা থাকতে শুরু করি । বাড়ির একটা ঘরে আমরা বুড়োবুড়ি রান্না করে খেতাম ও থাকতাম । রবিবার ছোটো ছেলে ও বউমা ওই ঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডারসহ সব জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দেয় ও বাড়ি থেকে বের করে দেয় ৷ তাঁদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয় ।"

মহকুমা শাসক বৃদ্ধ দম্পতির থেকে সব জানার পর পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন । কাঁথি থানার পুলিশ বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে দিয়ে আসে । বড় ছেলে রবীন্দ্র দাস ও ছোটো ছেলে হরেন্দ্র দাসকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ সম্পত্তি লিখিয়ে নিজের বৃদ্ধ ও অসুস্থ বাবা-মাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর অভিযোগে আটক করা হয় ওই দুজনকে ।

Intro:ছলেবলে কৌশলে সম্পত্তি লিখিয়ে নিজের বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা মা কে বাড়ি থেকে তাড়ানোর অভিযোগে আটক দুই ছেলে ।

সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার পর বাবা মা কে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তিন ছেলের বিরুদ্ধে । গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাস্তায় দোকানের পাশে রাত কাটালেন এই বৃদ্ধ দম্পতি। স্থানীয় কয়েকজনের নজরে বিষয়টি আশায় তাদের সহযোগিতায় পুলিশ ও মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান এই দম্পতি ।
মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য কাঁথি থানার আইসিকে এই বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে পৌঁচে দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি ছেলেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন ।
যদিও গুণধর তিন ছেলে , মেজো ছেলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী সচীন্দ্র দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন প্রয়োজনে বাবার দান করা জমি আমি ফেরত দিতে প্রস্তুত । বৃদ্ধ ননীগোপাল দাস
কোলকাতা কর্পোরেশনের প্রক্তন কর্মী । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার কুদভেড়ি গ্রামে বাড়ি । তিনছেলেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকলে ও বৃদ্ধ বাবা দুই বার হৃদরোগে আক্রান্ত ও মা সুপারের রুগি । বড় ছেলে রবীন্দ্র দাস রাজমিস্ত্রির কাজ করেন মেজ শচীন্দ্র ভারতীয় সেনা বিভাগে কর্মরত আর ছোট ছেলে হরেন্দ্র হোটেল কর্মী । ননীগোপালবাবুর অভিযোগ তিন ছেলে তাঁর কাছ থেকে বাড়ি সহ ৪৫ ডেসিমেল জায়গা লিখিয়ে নেওয়ার পর বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে । তিনি বলেন প্রায় তিন বছর আগে ছেলেদের কথা মতো কিছু সম্পত্তি ওদের লিখে দিয়েছিলাম । এরপর ওরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে , তখন গ্রামে সালিশি সভা ডেকে আমাকে আলাদা থাকার পরামর্শ দেন । তাদের কথা মতো আমরা আলাদা থাকতে শুরু করি । বাড়ির একটা ঘরে আমরা বুড়োবুড়ি রান্না করে খেতাম ও থাকতাম । রবিবার ছোট ছেলে ও বৌমা ওই ঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডারসহ সব জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দেয় ও বাড়ি থেকে মারধর করে এবং খুন করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ।
এরপর নিজের বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে ননীগোপাল দাস ও তাঁর স্ত্রী গৌরী দাস একটি গাছতলায় বসে কাঁদতে থাকেন । বৃদ্ধ দম্পতিকে এই ভাবে কাঁদতে দেখে সাংবাদিক আজাহার মুনির সহ আরো দুই সাংবাদিক এবং সমাজসেবী কনিষ্ক পন্ডা কান্নার কারণ জানতে চান । ননীগোপালবাবুর কাছ থেকে সব জানার পর পুলিশ ও মহকুমা শাসকের কাছে নিয়ে যাই । এরপর মহকুমা শাসক বৃদ্ধম্পতির ননীগোপালবাবুর কাছ থেকে সব জানার পর তিনি পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন । কাঁথি থানার পুলিশ বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে ছেড়ে দেয় ।ছাড়ার পর বড়ো ছেলে রবীন্দ্র দাস ও ছোট ছেলে হরেন্দ্র দাস কে থানায় নিয়ে আসে । এখন জিজ্ঞাসা বাদ করছে পুলিশ ।Body:ছলেবলে কৌশলে সম্পত্তি লিখিয়ে নিজের বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা মা কে বাড়ি থেকে তাড়ানোর অভিযোগে আটক দুই ছেলে ।

সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার পর বাবা মা কে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তিন ছেলের বিরুদ্ধে । গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাস্তায় দোকানের পাশে রাত কাটালেন এই বৃদ্ধ দম্পতি। স্থানীয় কয়েকজনের নজরে বিষয়টি আশায় তাদের সহযোগিতায় পুলিশ ও মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান এই দম্পতি ।
মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য কাঁথি থানার আইসিকে এই বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে পৌঁচে দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি ছেলেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন ।
যদিও গুণধর তিন ছেলে , মেজো ছেলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী সচীন্দ্র দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন প্রয়োজনে বাবার দান করা জমি আমি ফেরত দিতে প্রস্তুত । বৃদ্ধ ননীগোপাল দাস
কোলকাতা কর্পোরেশনের প্রক্তন কর্মী । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার কুদভেড়ি গ্রামে বাড়ি । তিনছেলেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকলে ও বৃদ্ধ বাবা দুই বার হৃদরোগে আক্রান্ত ও মা সুপারের রুগি । বড় ছেলে রবীন্দ্র দাস রাজমিস্ত্রির কাজ করেন মেজ শচীন্দ্র ভারতীয় সেনা বিভাগে কর্মরত আর ছোট ছেলে হরেন্দ্র হোটেল কর্মী । ননীগোপালবাবুর অভিযোগ তিন ছেলে তাঁর কাছ থেকে বাড়ি সহ ৪৫ ডেসিমেল জায়গা লিখিয়ে নেওয়ার পর বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে । তিনি বলেন প্রায় তিন বছর আগে ছেলেদের কথা মতো কিছু সম্পত্তি ওদের লিখে দিয়েছিলাম । এরপর ওরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে , তখন গ্রামে সালিশি সভা ডেকে আমাকে আলাদা থাকার পরামর্শ দেন । তাদের কথা মতো আমরা আলাদা থাকতে শুরু করি । বাড়ির একটা ঘরে আমরা বুড়োবুড়ি রান্না করে খেতাম ও থাকতাম । রবিবার ছোট ছেলে ও বৌমা ওই ঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডারসহ সব জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দেয় ও বাড়ি থেকে মারধর করে এবং খুন করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ।
এরপর নিজের বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে ননীগোপাল দাস ও তাঁর স্ত্রী গৌরী দাস একটি গাছতলায় বসে কাঁদতে থাকেন । বৃদ্ধ দম্পতিকে এই ভাবে কাঁদতে দেখে সাংবাদিক আজাহার মুনির সহ আরো দুই সাংবাদিক এবং সমাজসেবী কনিষ্ক পন্ডা কান্নার কারণ জানতে চান । ননীগোপালবাবুর কাছ থেকে সব জানার পর পুলিশ ও মহকুমা শাসকের কাছে নিয়ে যাই । এরপর মহকুমা শাসক বৃদ্ধম্পতির ননীগোপালবাবুর কাছ থেকে সব জানার পর তিনি পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন । কাঁথি থানার পুলিশ বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে ছেড়ে দেয় ।ছাড়ার পর বড়ো ছেলে রবীন্দ্র দাস ও ছোট ছেলে হরেন্দ্র দাস কে থানায় নিয়ে আসে । এখন জিজ্ঞাসা বাদ করছে পুলিশ ।Conclusion:ছলেবলে কৌশলে সম্পত্তি লিখিয়ে নিজের বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা মা কে বাড়ি থেকে তাড়ানোর অভিযোগে আটক দুই ছেলে ।

সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার পর বাবা মা কে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তিন ছেলের বিরুদ্ধে । গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাস্তায় দোকানের পাশে রাত কাটালেন এই বৃদ্ধ দম্পতি। স্থানীয় কয়েকজনের নজরে বিষয়টি আশায় তাদের সহযোগিতায় পুলিশ ও মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান এই দম্পতি ।
মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য কাঁথি থানার আইসিকে এই বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে পৌঁচে দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি ছেলেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন ।
যদিও গুণধর তিন ছেলে , মেজো ছেলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী সচীন্দ্র দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন প্রয়োজনে বাবার দান করা জমি আমি ফেরত দিতে প্রস্তুত । বৃদ্ধ ননীগোপাল দাস
কোলকাতা কর্পোরেশনের প্রক্তন কর্মী । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার কুদভেড়ি গ্রামে বাড়ি । তিনছেলেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকলে ও বৃদ্ধ বাবা দুই বার হৃদরোগে আক্রান্ত ও মা সুপারের রুগি । বড় ছেলে রবীন্দ্র দাস রাজমিস্ত্রির কাজ করেন মেজ শচীন্দ্র ভারতীয় সেনা বিভাগে কর্মরত আর ছোট ছেলে হরেন্দ্র হোটেল কর্মী । ননীগোপালবাবুর অভিযোগ তিন ছেলে তাঁর কাছ থেকে বাড়ি সহ ৪৫ ডেসিমেল জায়গা লিখিয়ে নেওয়ার পর বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে । তিনি বলেন প্রায় তিন বছর আগে ছেলেদের কথা মতো কিছু সম্পত্তি ওদের লিখে দিয়েছিলাম । এরপর ওরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে , তখন গ্রামে সালিশি সভা ডেকে আমাকে আলাদা থাকার পরামর্শ দেন । তাদের কথা মতো আমরা আলাদা থাকতে শুরু করি । বাড়ির একটা ঘরে আমরা বুড়োবুড়ি রান্না করে খেতাম ও থাকতাম । রবিবার ছোট ছেলে ও বৌমা ওই ঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডারসহ সব জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দেয় ও বাড়ি থেকে মারধর করে এবং খুন করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ।
এরপর নিজের বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে ননীগোপাল দাস ও তাঁর স্ত্রী গৌরী দাস একটি গাছতলায় বসে কাঁদতে থাকেন । বৃদ্ধ দম্পতিকে এই ভাবে কাঁদতে দেখে সাংবাদিক আজাহার মুনির সহ আরো দুই সাংবাদিক এবং সমাজসেবী কনিষ্ক পন্ডা কান্নার কারণ জানতে চান । ননীগোপালবাবুর কাছ থেকে সব জানার পর পুলিশ ও মহকুমা শাসকের কাছে নিয়ে যাই । এরপর মহকুমা শাসক বৃদ্ধম্পতির ননীগোপালবাবুর কাছ থেকে সব জানার পর তিনি পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন । কাঁথি থানার পুলিশ বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়িতে ছেড়ে দেয় ।ছাড়ার পর বড়ো ছেলে রবীন্দ্র দাস ও ছোট ছেলে হরেন্দ্র দাস কে থানায় নিয়ে আসে । এখন জিজ্ঞাসা বাদ করছে পুলিশ ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.