ভূপতিনগর, 6 সেপ্টেম্বর : সালিশি সভা বসিয়ে জওয়ানকে মারধর করে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার অনলবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা ৷ ওই জওয়ানের নাম কৃষ্ণগোপাল দাস ৷
কৃষ্ণগোপালবাবু বর্তমানে সেনাবাহিনীতে কর্মরত । কারগিলে পোস্টিং তাঁর । গত বছর অক্টোবর মাসে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি । অভিযোগ, সেই সময় মিথ্যে লিফলেট বিলির অভিযোগ তুলে এলাকার অঞ্চল সভাপতি দেবাশিস পান্ডা তাঁর বিরুদ্ধে সালিশি সভায় বসান ৷ সেখানে দেবাশিস ও স্থানীয় অন্য তৃণমূল নেতা কর্মীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন ৷ পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাঁর 23 ডেসিবেল রায়তি জমিও তারা লিখিয়ে নেয় বলে অভিযোগ । অভিযোগ, এবিষয়ে কৃষ্ণগোপালবাবু বা তাঁর বাড়ির সদস্যরা যাতে থানাতে যেতে না পারেন সেজন্য তাঁর বাড়ির সামনে পাহারাও বসিয়ে রাখেন তাঁরা ।
কয়েকদিনের মধ্যে কৃষ্ণগোপালাবাবুকে কর্মস্থানে ফিরে যেতে হয় । সম্প্রতি বাড়ি ফেরেন তিনি । এরপরই ডাকযোগে এবিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান । এছাড়াও এবিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার, জেলাশাসক, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ডিফেন্স মিনিস্টারকে অভিযোগ জানান । কৃষ্ণগোপালাবাবু বলেন, "আগের বছর আমি বাড়ি এসেছিলাম ৷ সেসময় সালিশি সভা বসিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে আমার জমি লিখিয়ে নেয় তৃণমূল কর্মীরা ৷ আমি বাড়ি ফিরে এবিষয়ে জেলাশাসক, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ডিফেন্স মিনিস্টারকে অভিযোগ জানিয়েছি৷ এরপর থেকে ওরা আরও বেশি আমার উপর অত্যাচার শুরু করেছে ৷"
তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে দেবাশিস বলেন, "আমাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত চলেছে ৷" তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পান্ডা বলেন, "আমাদের দল কোনও বেআইনি কাজকে সমর্থন করে না ৷ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷" অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভি সলেমান নেশাকুমার।