নন্দীগ্রাম, 1 জুন: নবজোয়ার কর্মসূচিতে নন্দীগ্রামে এসেই প্রথম হাঁটলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে 20 কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রার নেতৃত্ব দিয়ে কার্যত বিজেপিকেই একহাত নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ সামনেই রাজ্য়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ আর বছর ঘুরলে লোকসভা ভোট ৷ তার আগে তৃণমূলের পাখির চোখ যে ফের নন্দীগ্রাম তা অভিষেকের সফর থেকেই স্পষ্ট ৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে অভিষেক তাঁর গ্রাম জনসংযোগ এবং নবজোয়ার কর্মসূচিতে প্রথম পদযাত্রা করলেন নন্দীগ্রামেই ৷ সুতরাং নন্দীগ্রামের লড়াই যে অভিষেক এবং তৃণমূলের কাছে রীতিমতো 'প্রেস্টিজ ফাইট' তা এদিন অভিষেকের আদ্য-পান্ত চালচলন থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷
নন্দীগ্রাম থেকেই গত বিধানসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ আর তারপর থেকেই কার্যত অধিকারী-দুর্গে ফাটল ধরানোই কার্যত ধ্যান-জ্ঞান হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের ৷ আর নবজোয়ার কর্মসূচিতে সেই অধিকারী গড়ে গিয়েই মাইলের পর মাইল পায়ে হাঁটলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ এদিন অভিষেক বিকালে চণ্ডীপুরে পদযাত্রা শুরু করেন এবং নন্দীগ্রামে শেষ করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নবজোয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল তাঁর এই পদযাত্রা।
এরই সঙ্গে তিনি টুইট করে লিখেছেন, "জনসংযোগ যাত্রার প্রতি মানুষের ভালবাসার স্রোত, প্রতিদিন আপনাদের হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে সাড়া পেয়েছি ৷ আপনারা আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে, এই জনজোয়ার বাংলা দখল করবে। জনগণের ক্রমবর্ধমান সমর্থন আমাকে আশ্বস্ত করে যে তৃণমূল কংগ্রেস আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবং তার বাইরেও নিজেদের পারফরম্যান্স করতে প্রস্তুত ৷"
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সির ভরতি তালিকা নিয়ে পড়ুয়ার অভিযোগে ক্ষুব্ধ মমতা, শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
একই সঙ্গে, বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি লিখেছেন, "আমি নিশ্চিত যে বিজেপি আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে ক্ষতি করেছে তা সারা ভারত জুড়ে লোকেরা উপলব্ধি করেছে। এই বছরের শেষের দিকে, আমাদের দেশে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে বিজেপি পাঁচটি রাজ্যেই হারবে ৷ সন্দেহের কোনও অবকাশই নেই ৷ বিজেপির দুঃশাসনের অবসান শুরু হয়েছে!" এদিন তিনি নন্দীগ্রামের জনগণের সঙ্গে জায়গায় জায়গায় কথা বলেন ৷ মিছিলের সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের অভিযোগও শোনেন। নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য জাতীয়স্তরে উঠে এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷