তমলুক, 8 এপ্রিল: জেলায় সবচেয়ে বেশি কোরোনায় আক্রান্ত তমলুকে । এই জেলার একটি গ্রামে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হটস্পট তালিকায় নাম নেই সেই এলাকারই। ফলে কোরোনার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিল । অপরদিকে ওই এলাকাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য ইতিমধ্যেই BDO ও রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তমলুকে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 7 জন । অপরদিকে হলদিয়া ও এগরাতে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 4 ও 2 জন বাসিন্দা। এগরার বিয়ে বাড়িতে এসে আক্রান্ত হন কলকাতার আরও দুই বাসিন্দা। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে তমলুকেই । অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল নবান্ন থেকে যে সাংবাদিক বৈঠক করে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য হটস্পট চিহ্নিতকরণ করে দিয়েছিলেন সেই তালিকায় নাম নেই তমলুকেরই। তিনি হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ও এগরা শহরকে। আর যে কারণেই যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ কপালে পড়েছে তমলুকের স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের।
এলাকা প্রশাসনিকভাবে চিহ্নিত নাহলে পাওয়া নাও যেতে পারে সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে অন্যান্য পরিষেবা । এবার তাই এলাকাকে হটস্পট চিহ্নিত করার জন্য ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ও রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সর্বদা তৎপর রয়েছে।
এ বিষয়ে 1 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শরৎচন্দ্র মেটিয়ার প্রশ্ন, "তমলুকের নাম হটস্পট হিসেবে চিহ্নিতকরণ না হওয়ায় আমরা প্রশাসনের তরফে সমস্ত রকম সহযোগিতা থেকে কোনভাবে বঞ্চিত হব না তো? এই চিন্তা বারবার আমাদের ভাবাচ্ছে। তাই ইতিমধ্যেই এলাকাকে যাতে কোরোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করণ করা হয় তার জন্য আমরা শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের BDO-কে জানিয়েছি। অপরদিকে দ্রুত এলাকার নাম প্রশাসনিকভাবে তালিকায় যোগ করার জন্য মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও ফোন মারফত জানানো হয়েছে।" তাঁর আশা, দ্রুত সেই কাজ হবে ।