মহিষাদল, 20 অক্টোবর : পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের গেঁওখালির বাসিন্দা হরিপদ মল্লিক ৷ তাঁর দুই ছেলে নারায়ণ ও মঙ্গলদেব ৷ অভিযোগ, বড় ছেলে নারায়ণ দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তির ভাগ নিয়ে অশান্তি করছিল । নারায়ণ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পাশের গ্রাম গোপালচকে থাকে ৷
অভিযোগ, সম্পত্তির ভাগ না পেয়ে বাবাকে খুন করার চক্রান্ত করে নারায়ণ ৷ শনিবার রাত সাড়ে 10 টা নাগাদ নিজের বাড়িতে জানালা খুলে ঘুমোচ্ছিলেন হরিপদবাবু ৷ সে সময় জানালা দিয়ে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ আগুন দেখে ছুটে আসে ছোটো ছেলে মঙ্গলদেব ৷ চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি ৷ কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে হরিপদবাবুর (75) ৷
মঙ্গলদেবের অভিযোগের ভিত্তিতে বড় ছেলে নারায়ণ ও স্ত্রী তনুশ্রীকে আটক করে মহিষাদল থানার পুলিশ ৷ মৃতের ভাইপো সুনীলকুমার মল্লিক বলেন, "পুলিশ নারায়ণ ও তাঁর স্ত্রীকে থানায় নিয়ে গেছে ৷ দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণের সঙ্গে কাকাবাবুর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল ৷ আমরা চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তি দিক ৷"
প্রতিবেশী রূপক প্রামাণিক বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে বড় ছেলের সঙ্গে তার বাবার গন্ডগোল চলছিল ৷ রাতে ছোটো ছেলের কাছ থেকে ফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে গিয়ে হরিপদবাবুর অগ্নিদগ্ধ দেহ দেখতে পাই ৷ পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ আমাদের ধারণা, সম্পত্তির কারণেই ছেলে খুন করেছে ৷"
হলদিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তন্ময় মুখার্জি বলেন, "স্থানীয়দের তরফে খবর পেয়ে রাত একটা নাগাদ হরিপদবাবুর দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ সকালে ছোটো ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে বড় ছেলে ও তার স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷ প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই খুন ৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷"