পটাশপুর, 1 মে : লকডাউনের জন্য প্রসূতিদের চিকিৎসা চলছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে । যার কারণে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে পারছেন না স্বাস্থ্য কর্মীরা । এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ রোগীরা । অনিয়মিত ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের মথুরা এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলায় সেখানে বসছে মদের ঠেক । চরম অসুবিধায় পড়েছেন প্রসূতি ও অন্যান্য রোগীরা ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর 2 ব্লকের মথুরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলার সময় সকাল সাড়ে 9 টায় এবং বন্ধ হওয়ার সময় বিকেল 4 টে । কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের জন্য প্রসূতিদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য কর্মীরা এখন নিয়মিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না গিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করছেন। যার ফলে মথুরা সদর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা ব্যাহত । সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের । অন্যদিকে, ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জলের সমস্যাও দীর্ঘ দিনের । সেখানে আসা সাধারণ রোগী থেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের খাবার জন্য জল বাড়ি থেকে বয়ে নিয়ে আসতে হয় । এমনকী, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি অনিয়মিত খোলার ফলে এখানে বসে মদের আসর । বারংবার লোকাল প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ ।
পটাশপুর 2 নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারীক গৌরাঙ্গ শীল এই সমস্ত অভিযোগ মেনে নিয়ে বলেন, " বর্তমান কোরোনা ভাইরাসের জেরে আমরা একসঙ্গে সমস্ত কর্মীদের কাজ করাতে পারছিনা । আর তাছাড়া এখন সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিকে বলা হয়েছে প্রসূতিদের প্রতিনিয়ত চেক আপ করতে এবং তার রিপোর্ট প্রতিদিন পাঠাতে । যার ফলে কর্মীদের প্রথমে ফিল্ডওয়ার্ক সামলাতে হচ্ছে । তারপরে এসে ওঁরা কেন্দ্রগুলি খুলছেন । এর ফলে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে । পানীয় জলের সমস্যার ব্যাপারে আমরা পঞ্চায়েত স্তরে আলোচনা করেছি । আর তাছাড়া ওখানে খালি মদের আসর নয়, অনেক অসামাজিক কাজকর্ম ও চলছে । আর এই ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথাও বলেছি ।"
স্থানীয় বাসিন্দা গীতারানী পয়রা বলেন, " আগে দিদিরা নিয়মিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা রাখতেন । কিন্তু এখন অনিয়মিত আসেন তাঁরা। আর এখানে জলের সমস্যা দীর্ঘ দিনের । এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ থাকলে স্থানীয় ছেলেরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বারান্দায় মদের আসর বসায় । যার কারণে আমরা সমস্যায় পড়েছি ।"