মেদিনীপুর, 17অক্টোবর : হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগী । অভিযোগ হাসপাতালের উদাসীনতার জন্য রোগীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ঘটনা ।
জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে গত 14 তারিখ পেটে জল জমার জন্য সাতপাটির বাসিন্দা মথুর দে (62)কে ভরতি করে তাঁর পরিবার । 14 তারিখের পর 15 তারিখ রোগী ভালোই ছিল । এরপর 16 তারিখ বাড়ির লোকজন সন্ধ্যে 6টা নাগাদ চলে যায় । পরের দিন সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ফোন করে বলে যে রোগীকে পাওয়া যাচ্ছে না । এরপর রোগীর পরিবারের লোকজন এসে হাসপাতাল চত্বরে খোঁজ চালায় । রোগীর হদিশ না মেলায় তাঁরা দ্বারস্থ হয় থানার । 24 ঘন্টা না গেলে তাঁদের অভিযোগ দায়ের করা যাবে না বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় থানা থেকে ।
দিনের বেলায় কিভাবে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় রোগী ? সেই নিয়ে উঠেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছে । উল্লেখ্য, মেদিনীপুরে হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয় । এর আগেও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ থেকে পালিয়ে গেছে রোগী । পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের পাশের নর্দমা থেকে । কখনও পুকুর বা জলাশয় থেকে পাওয়া গিয়েছে রোগীর দেহ । দিনে-দুপুরে এত নিরাপত্তারক্ষী এবং হাসপাতালের ডাক্তার নার্স থাকা সত্ত্বেও রোগী কিভাবে উধাও হয়ে যায় সে নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিবার ।
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ সুপার তন্ময় কান্তি পাঁজা এ বিষয়ে বলেন, " বিষয়টি শুনেছি খোঁজ নিয়ে দেখবো পুলিশকে জানাবো ।" অপরদিকে নিখোঁজ রোগীর আত্মীয় তুফান দে বলেন, " 14 তারিখে বাবাকে ভরতি করার পর 15 তারিখ এবং 16 তারিখ প্রতিদিনকার মত সকালে আসতাম সন্ধ্যায় চলে যেতাম । 16 তারিখে বাড়ি ফিরে গেছি সন্ধ্যায় । 17 তারিখ সকাল বেলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফোন করে জানায় বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না । এরপর তড়িঘড়ি ফিরে আসি । হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর চালিয়ে চালিয়েছি কিন্তু বাবাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি । হাসপাতালে এত নিরাপত্তারক্ষী এতো ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও হাতে চ্যানেল লাগানো অবস্থায় কিভাবে বাবা চলে যায় সে নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বাবাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ।"