কলকাতা, 28 অগস্ট: রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী ক্ষেত্র নন্দীগ্রাম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই নির্বাচনী কেন্দ্র থেকেই পরাজিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর থেকেই এই নন্দীগ্রামে তৃণমূলের জমি উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে । কিন্তু এরপরেও সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করেছে বিজেপি। একদা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রামে এই মুহূর্তে বিজেপির শক্তিও কোনও অংশে কম নেই ।
ফলে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক উত্তাপ থেকে শুরু করে ঘটনা বাড়ছে নন্দীগ্রাম থানা এলাকায়। আর সে কারণেই এবার নন্দীগ্রাম থানাকে গ্রামীণ থানা থেকে সেমি-আরবান থানায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল । সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার অ্যাজেন্ডাতেই এই বিষয়টি ছিল। বৈঠকে নন্দীগ্রাম থানাকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর ।
নন্দীগ্রাম সেমি আরবান থানা হলে কী সুবিধা ?
যতদূর জানা যাচ্ছে সেমি-আরবান থানা হলে পরিকাঠামোগত উন্নতি হবে নন্দীগ্রাম থানার । বাড়বে অফিসার ও পুলিশ কর্মীর সংখ্যা । ফলে আগামী দিনে কোনও বড় ঘটনা ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
এদিন নন্দীগ্রামকে সেমি-আরবান থানা করা হবে এই নিয়ে জেলার এক মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "মন্ত্রিসভায় আজ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । মূলত এই সিদ্ধান্তের ফলে নন্দীগ্রাম থানাকে আপগ্রেডেশন করা হচ্ছে । আগামী দিনে শুধু অপরাধ রুখতে নয়, রাজনৈতিক উত্তাপ রুখতেও আরও স্বয়ম্ভর হচ্ছে নন্দীগ্রাম থানা । অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, পরিকাঠামোর পাশাপাশি বেশি পুলিশ কর্মী থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে । যে কোনও সমস্যা হলে পুলিশের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে ।"
যদিও বিজেপির একাংশের এই নন্দীগ্রাম থানার আপগ্রেডেশন নিয়ে টিপ্পনী রয়েছে । জেলার এক বিজেপি নেতার কথায়, "নির্বাচনী লড়াইয়ে পেরে উঠতে না-পেরে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার নন্দীগ্রামে পুলিশি রাজ কায়েম করতে চাইছে। তবে এভাবে পুলিশ দিয়ে আর যাই হোক বিরোধী দলনেতাকে আটকানো যাবে না ।" যদিও এদিন জেলার বাইরে থাকায় এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সর্বদল বৈঠকে নেই বাম-কংগ্রেস-বিজেপি