তমলুক, 17 জুন : 2015 সালের 4 জানুয়ারি ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীন স্টেজে উঠে অভিষেককে সপাটে চড় মারেন তমলুকের এক যুবক । সেই দেবাশিস আচার্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তমলুকে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷
দেবাশিস আচার্যকে 2021-এর নির্বাচনের আগেও দেখা গিয়েছিল ৷ ভোটের আগেভাগে কাঁথির দইসাই সংলগ্ন মাঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার কদিন আগে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পণ্ডার সঙ্গে ফেসবুকে আপলোড হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় তাঁকে । শুভেন্দু আধিকারীর একাধিক কর্মসূচিতেও দেখা গিয়েছিল । সেই দেবাশিস আচার্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর ।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে দুই বন্ধুর সঙ্গে 41 নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন নেতাজিনগর এলাকায় চা খেতে যান দেবাশিস । এরপর তাঁর ফোনে একটি কল আসে । সেই কলে কথা বলে বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি । এরপর থেকেই তাঁর ফোন সুইচড অফ ৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ সকালে তমলুকের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে দেবাশিসের মৃতদেহের সন্ধান মেলে । দেবাশিসের সারা গায়ে ও মাথায় একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে । ইতিমধ্যে পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে । বিজেপির অভিযোগ, দেবাশিস আচার্যকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন:দিনহাটায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত ১
বিজেপি নেতা কণিষ্ক পণ্ডা বলেন, "দেবাশিস আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিল ৷ তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে ৷ তদন্ত হলেই জানা যাবে ৷"
এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, "দেবাশিস আচার্যকে আমরা ভুলে গেছি ৷ তাঁর মৃত্যু নিয়ে তৃণমূলের উপর দোষ চাপানো ঠিক নয় ৷ তবে আইন আইনের পথে চলবে ৷ আমাদের কেউ দোষী হলে সেও সাজা পাবে ৷ কিন্তু, এইসব দোষ চাপিয়ে তৃণমূলকে রোখা যাবে না ৷"