রামনগর(পূর্ব মেদিনীপুর), 21 অগস্ট: বিদ্যুৎ দফতরের 'গাফিলতিতে' বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর । এমনটাই অভিযোগ করেছে গ্রামবাসীরা ৷ তাদের বিক্ষোভের জেরে মৃতদেহ তুলতে পারল না পুলিশ (Locals protest as Businessman Electrocuted) । খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সাংবাদিক । মৃত্যুকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল রামনগরে ।
গতকাল রাত থেকে এদিন সকাল 11 টা 30 মিনিট পর্যন্ত মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলা রামনগর থানার বড়রাঙ্ককুয়া এলাকায় । মৃতের নাম নিমাই জানা ৷ বয়স 35 বছর । তাঁর বাড়ি রামনগর থানার পশ্চিম করঞ্জি গ্রামে । সকালে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে মৃতদেহ তুলতে কার্যত ব্যর্থ হয় রামনগর থানার পুলিশ ।
মৃত নিমাই জানা দীঘায় মশলা মুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতেন । দুদিন আগে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে ঝড় ও বৃষ্টি হয় । সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা রামনগর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় একাধিক গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । কোথাও কোথাও বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে রাস্তার উপর এখনও পড়ে রয়েছে । শনিবার রাত্রি 11 টা নাগাদ সৈকত নগরীর দিঘায় মশলা মুড়ি বিক্রি করে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী নিমাই জানা । আচমকা রাস্তার পাশে থাকা বিদ্যুতের তারে তড়িতাহত হয়ে মৃত্যু হয় ব্যবসায়ীর (Businessman Electrocuted) ।
ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা মৃতদেহের পাশে জড়ো হন । খবর পেয়ে হাজির হয় রামনগর থানার পুলিশ । মৃতদেহ তুলতে গেলে পুলিশকে বাঁধা দেয় গ্রামবাসীরা । বিক্ষোভ ও বাধা পেয়ে কার্যত মৃতদেহ তুলতে ব্যর্থ হয় রামনগর থানার পুলিশ । রাতে মৃতদেহ না তুলে ফিরে আসতে হয় পুলিশকে । সকাল হতেই ঘটনাস্থলে আবার হাজির হয় রামনগর থানার পুলিশ । এবারও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা ।
আরও পড়ুন: পাণ্ডুয়ায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের, দেহ আটকে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
তাদের দাবি, অবিলম্বে মৃত ব্যাবসায়ীর পরিবারকে সবরকমের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে । এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "রাতে ব্যবসা করে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর । বিদ্যুৎ দফতরে একাধিকবার ফোন করে লাইন সারানোর কথা জানানো হলেও করেনি ৷ ওরা বলেছিল, আপনারা নিজেরা মোরামত করে নিন । আমরা কোনও পরিষেবা পাচ্ছি না । উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার আশ্বাস দিলে আমরা মৃতদেহ তুলতে দেব না ।"