কলকাতা, 29 ডিসেম্বর: নারায়ণচন্দ্র গিরির জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বিশেষ বেঞ্চ । বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ সৌমেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই ঠিকাদারকে জামিন দেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে কাঁথি পৌরসভার সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে (Soumendu Adhikari close associate gets bail in Calcutta High Court) ৷
জানা গিয়েছে, সৌমেন্দু ঘনিষ্ঠ নারায়ণ গিরির বিরুদ্ধে রাস্তা, ফুটপাথ তৈরির সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ৷ এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ 30 দিন ঠিকাদার জেলে ছিলেন ৷ 2018-19 সালে কাঁথি এলাকার উন্নয়নের কাজের বরাত পান নারায়ণ চন্দ্র ৷ সেই সময় কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী ৷
আবেদনকারীর দাবি, এফআইআর হয়েছে 26 নভেম্বর, 2022 তারিখে ৷ ঘটনার চার বছর পরে এফআইআর দায়ের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ৷ নারায়ণ গিরির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার এদিন আদালতে এই অভিযোগ তোলেন । তাঁর আরও দাবি, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে 409 ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে ৷ তিনি (নরাায়ণ চন্দ্র গিরি) কোনও সরকারি কর্মচারী বা সরকারের কোনও পদে নেই ৷ তিনি একজন ঠিকাদার। তাই তাঁর বিরুদ্ধে 409 ধারা প্রযোজ্য হতে পারে না ।
আরও পড়ুন: সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আপাতত কড়া পদক্ষেপ নয়, রাজ্য সরকারকে নির্দেশ আদালতের
অন্যদিকে, এই মামলার মূল অভিযুক্ত সৌমেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সরকারি আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন, এই জামিনের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় ৷ কারণ সৌমেন্দু অধিকারী চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় এই ঠিকাদার তিন কোটি টাকা নিয়েছেন ৷ অথচ তিনি সেই টাকা দিয়ে ঠিকঠাক কাজ করেননি ৷ তাঁর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নারায়ণ চন্দ্রের জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ ৷ পাশাপাশি আদালতের আরও নির্দেশ নারায়ণ চন্দ্রকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ৷ তদন্তকারী অফিসার যখনই তাঁকে ডাকবেন, তখনই তাঁকে হাজির হতে হবে ৷