ETV Bharat / state

খোলা বাজার থেকে উদ্ধার রেশনের খাদ্য সামগ্রী

author img

By

Published : Sep 21, 2019, 9:28 PM IST

জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এক শ্রেণির গ্রাহক রেশন সামগ্রী কিনে তা চড়া দামে খোলা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন । সেগুলো মজুত করে আরও বেশি দামে বিক্রি করছিলেন অসাধু ব্যবসায়ীরা ৷ ভুয়ো রেশনকার্ডের আড়ালে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত একশ্রেণির রেশন ডিলারও ৷

বেআইনি গুদামে বাজেয়াপ্ত রেশন সামগ্রী

তমলুক, 21 সেপ্টেম্বর : রেশনের চাল, আটা খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নেমে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন ৷ সম্প্রতি তমলুক সংলগ্ন এলাকায় রেশনের খাদ্যসামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল ৷ সেই অভিযোগ পেয়েই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান আজ তমলুকের রামতারকহাটের বেশকিছু রেশন দোকান পরিদর্শন করেন ৷ আর পরিদর্শনের সময় দেখতে পান যে খোলা বাজারে রেশনের খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে ৷ এক দোকানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেআইনি চারটি গুদামের হদিশ পায় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ ওই গুদামগুলো থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় 10 লক্ষাধিক টাকার খাদ্য সামগ্রী ৷

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খানের অভিযোগ, গ্রাহক এবং রেশন ডিলারদের হাত ধরে খোলাবাজারে চড়া দামে রেশনের খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে ৷ তিনি বলেন, "বেআইনি গোডাউনে অভিযান চালানোর সময় বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে । আগে একটি গোডাউন থেকেই প্রায় দু'লাখ টাকার মাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ রেশনের জিনিস খোলা বাজারে বিক্রি হওয়ার খবর পেলে আবারও অভিযান চালানো হবে ৷ আর যাঁরা বিক্রি করবেন, প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ "

আরও পড়ুন : হলদিয়া পেট্রোকেমিকেলসে আগুন, অগ্নিদগ্ধ 13

জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এক শ্রেণির গ্রাহক রেশন সামগ্রী কিনে তা চড়া দামে খোলা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন । সেগুলো মজুত করে আরও বেশি দামে বিক্রি করছিলেন অসাধু ব্যবসায়ীরা ৷ ভুয়ো রেশনকার্ডের আড়ালে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত একশ্রেণির রেশন ডিলারও ৷ তারাই কারচুপি করে বেশি সংখ্যক রেশন কার্ডের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী তুলছিলেন ৷ পরে সেগুলো খোলা বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছিলেন ৷ ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ধরা পড়েছে প্রায় 48 হাজার ভুয়ো রেশন কার্ড ৷ একইসঙ্গে প্রায় 30 হাজার মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড এখনও রয়েছে ৷ যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে রেশন সামগ্রী তোলা হচ্ছে ৷ জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, "অভিযোগ পেয়েই আমরা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি ৷"

তমলুক, 21 সেপ্টেম্বর : রেশনের চাল, আটা খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নেমে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন ৷ সম্প্রতি তমলুক সংলগ্ন এলাকায় রেশনের খাদ্যসামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল ৷ সেই অভিযোগ পেয়েই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান আজ তমলুকের রামতারকহাটের বেশকিছু রেশন দোকান পরিদর্শন করেন ৷ আর পরিদর্শনের সময় দেখতে পান যে খোলা বাজারে রেশনের খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে ৷ এক দোকানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেআইনি চারটি গুদামের হদিশ পায় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ ওই গুদামগুলো থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় 10 লক্ষাধিক টাকার খাদ্য সামগ্রী ৷

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খানের অভিযোগ, গ্রাহক এবং রেশন ডিলারদের হাত ধরে খোলাবাজারে চড়া দামে রেশনের খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে ৷ তিনি বলেন, "বেআইনি গোডাউনে অভিযান চালানোর সময় বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে । আগে একটি গোডাউন থেকেই প্রায় দু'লাখ টাকার মাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ রেশনের জিনিস খোলা বাজারে বিক্রি হওয়ার খবর পেলে আবারও অভিযান চালানো হবে ৷ আর যাঁরা বিক্রি করবেন, প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ "

আরও পড়ুন : হলদিয়া পেট্রোকেমিকেলসে আগুন, অগ্নিদগ্ধ 13

জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এক শ্রেণির গ্রাহক রেশন সামগ্রী কিনে তা চড়া দামে খোলা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন । সেগুলো মজুত করে আরও বেশি দামে বিক্রি করছিলেন অসাধু ব্যবসায়ীরা ৷ ভুয়ো রেশনকার্ডের আড়ালে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত একশ্রেণির রেশন ডিলারও ৷ তারাই কারচুপি করে বেশি সংখ্যক রেশন কার্ডের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী তুলছিলেন ৷ পরে সেগুলো খোলা বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছিলেন ৷ ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ধরা পড়েছে প্রায় 48 হাজার ভুয়ো রেশন কার্ড ৷ একইসঙ্গে প্রায় 30 হাজার মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড এখনও রয়েছে ৷ যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে রেশন সামগ্রী তোলা হচ্ছে ৷ জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, "অভিযোগ পেয়েই আমরা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি ৷"

Intro:তমলুক, ২১ জুলাই:রেশনের জিনিস খোলাবাজারে বিক্রি হওয়ার অভিযোগ উঠছিল।রেশনে সস্তায় চাল, আটা কিনে তা দোকানে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছিল তমলুক লাগোয়া এলাকায়।সম্প্রতি এই অভিযোগ শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান।অভিযোগ ছিল,রেশনে নিম্ন মানের চাল-আটা সরবরাহের।যে কারণে সেই নিম্নমানের চাল-আটা একশ্রেণির গ্রাহক আবার খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন।শনিবার দুপুরে তমলুকের রামতারকহাটের কয়েকটি রেশন দোকান পরিদর্শনে যান সিরাজ খান।আর সেখানে গিয়েই সূত্র ধরে পুলিশ নিয়ে হানা দিলেন ৪ টি বেআইনি গুদামে।যেখান থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার রেশন সামগ্রী।যা গ্রাহক এবং রেশন ডিলারদের হাত ধরে খোলাবাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের।Body:ঘটনা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের থেকে শুরু করে জেলা সভাধিপতি এবং জেলাশাসকের নজরে এনেছেন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন,
অভিযোগ পেয়েই আমরা এ ব্যাপারে পুলিশকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।


জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এক শ্রেণীর গ্রাহক রেশন সামগ্রী কিনে তা বেশি দামে খোলাবাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।সেগুলো মজুত করে আরও বেশি দামে বিক্রি করছিলেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।ভূতুড়ে রেশন কার্ডের আড়ালে এমন খাদ্য-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত একশ্রেণীর রেশন ডিলারও।কিছু অসাধু রেশন ডিলার কারচুপি করে বেশি সংখ্যক রেশন কার্ডের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী তুলছিলেন।পরে তা খোলাবাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছিলেন।পূর্ব মেদিনীপুরে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে প্রায় ৪৮ হাজার ভুয়ো রেশন কার্ড।যার মধ্যে আঠারো হাজার ব্যক্তির নামে একাধিক ধরনের রেশন কার্ড তালিকাতে নথিভুক্ত রয়েছে। অপরদিকে প্রায় তিরিশ হাজার মৃত ব্যক্তির নামে রেশন কার্ড এখনও রয়েছে। যা থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে রেশন সামগ্রী।আর এতেই বছরে কয়েক কোটি টাকার রেশন সামগ্রী তছরুপ হচ্ছিল বলে অভিযোগ।Conclusion:এ বিষয়ে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান বলেন,খোলাবাজারে রেশন সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছিল। বেআইনি গোডাউনে অভিযান চালানোর সময় বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে । আগে একটি গোডাউন থেকেই প্রায় দু লক্ষ টাকার মাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।রেশনের জিনিস কোলাবাজারে বিক্রি হওয়ার খবর পেলে আবার অভিযান চালানো হবে।আর যাঁরা বিক্রি করবেন প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এদিনের এই ঘটনায় অবশ্য পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি।ঘটনার পর থেকে চার গুদামের মালিক পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.