হলদিয়া, 3 অগস্ট : হলদিয়া পেট্রকেমিক্যালসে (Haldia Petrochemicals) বিধ্বংসী আগুন ৷ মঙ্গলবার পাইপ লাইনের কাজ চলছিল ৷ সেই কাজ চলাকালীনই বিকেল তিনটের কিছু পর হঠাৎই আগুন লাগে ৷ দমকলের মোট সাতটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে নামে ৷ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, আগুনের উৎস খোঁজার চেষ্টা চালানো হচ্ছে ৷ অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) ৷
এদিন পেট্রকেমিক্যালসে পাইপলাইনের কাজ চলছিল ৷ কাজ চলাকালীনই হঠাৎ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে ৷ প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ৷ আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ৷ পাশাপাশি অন্যান্য কারখানাগুলি থেকে দমকলের ইঞ্জিন আনার ব্যবস্থা করা হয় ৷ শেষ পর্যন্ত মোট 7টি ইঞ্জিন ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় সাড়ে পাঁচটার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ৷ তার মধ্যেই পাইপ লাইন থেকে তেলের ইউনিটে যাতে আগুন না ছড়িয়ে পড়ে তার ব্যবস্থা করা হয় ৷ যদিও আগুনের উৎস জানা যায়নি ৷ তবে জানা গিয়েছে, প্রথমে একটি ট্যাঙ্কারে আগুন লাগে ৷ পরে তা আরও দু'টি ট্যাঙ্কারে ছড়িয়ে পড়ে ৷ তবে আগুনের উৎস কোথায় ছিল তা খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ ৷
এদিন ঘটনায় জখম হয়েছেন কারখানার তিনজন কর্মী ৷ তবে জখমের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ঘটনার পর দ্রুত কারখানার ভিতর থেকে শতাধিক কর্মীকে বের করে আনা হয় ৷
আরও পড়ুন : মহেশতলায় স্যানিটাইজার ফ্যাক্টরিতে বিধ্বংসী আগুন
গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ৷ 2019 সালের দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে পেট্রকেমিক্যালস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন, "তখন চারজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছিলেন ৷ তারপরও কারখানা কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার দিকটিকে আমল দেয়নি ৷ স্থানীয় মানুষকে বঞ্চিত করে তারা কাজ চালাচ্ছিল ৷ আমি মনে করি, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ ভাবে তদন্ত করে দেখা উচিৎ যে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রকৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলম্বন করেছিল কিনা ৷"