ETV Bharat / state

কাঁথিতে মধুচক্রের পরদা ফাঁস, 3 যুবতিসহ আটক 5 - exposed honey trap at Kanthi

ক'দিন ধরে মুরশেদের বাড়িতে অচেনা যুবকদের যাতায়াত দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের ৷ গতকাল সন্ধ্যায় ক'জন যুবককে মুরশেদের বাড়িতে ঢুকতে দেখে তাদের ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা ৷ মধুচক্রের পরদা ফাঁস হয় ৷ এই ঘটনায় 3 যুবতিসহ 2 যুবককে আটক করে কাঁথি থানার পুলিশ ৷

প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Sep 12, 2019, 5:59 PM IST

Updated : Sep 12, 2019, 6:04 PM IST

কাঁথি, 12 সেপ্টেম্বর : মধুচক্রের পরদা ফাঁস করলেন গ্রামবাসীরা ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির উত্তর দারুয়া গ্রামের ঘটনা ৷ ঘটনাস্থান থেকে তিন যুবতিসহ এক যুবককে আটক করে কাঁথি থানার পুলিশ ৷ পরে মধুচক্রের পান্ডা শেখ মুরশেদকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে আটক করে পুলিশ ৷

শেখ মুরশেদের বাড়ি কাঁথির উত্তর দারুয়ায় ৷ পেশায় কাঁথি উপ সংশোধনাগারের অস্থায়ী অ্যাম্বুলেন্স চালক ৷ অভিযোগ, দু'মাস আগে দিঘা এবং মন্দারমণির হোটেলে বার ডান্সারের কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কলকাতা থেকে তিন যুবতিকে কাঁথি নিয়ে আসে মুরশেদ ৷ কিন্তু কাঁথি আসার পর ওই তিন যুবতি বুঝতে পারেন তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে ৷ পালানোর চেষ্টাও করেন ৷ কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের মারধর করা হয় ৷ জোর করে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করাত মুরশেদ ৷ শুধু তাই নয় নিজের গ্রামের বাড়িতেও কাস্টমার নিয়ে আসত সে ৷

ক'দিন ধরে মুরশেদের বাড়িতে অচেনা যুবকদের যাতায়াত দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের ৷ গতকাল সন্ধ্যায় ক'জন যুবককে মুরশেদের বাড়িতে ঢুকতে দেখে তাদের আটকান গ্রামবাসীরা ৷ এরপরেই মুরশেদের বাড়িতে চলা মধুচক্রের পরদা ফাঁস হয়ে যায় ৷ পুলিশে খবর দেন গ্রামবাসীরা ৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায় মুরশেদ ৷ পুলিশ ঘটনাস্থান থেকে তিন যুবতিসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করে ৷

ঘটনার প্রায় চার ঘণ্টা পর কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে মুরশেদকে দেখতে পান ক'জন গ্রামবাসী ৷ সেখানে চিকিৎসার জন্য সংশোধনাগারের বন্দিদের নিয়ে এসেছিল সে ৷ তাকে দেখতে পেয়েই ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা ৷ মুরশেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ৷ পরে তাকে আটক করে পুলিশ ৷

কাঁথি থানার IC সুনয়ন বসু বলেন, "গতকাল তিন যুবতিসহ দুই যুবককে গ্রামবাসীরা পুলিশের হাতে তুলে দেয় ৷ মোট পাঁচজনকে পুলিশ আটক করেছে ৷ "

কাঁথি, 12 সেপ্টেম্বর : মধুচক্রের পরদা ফাঁস করলেন গ্রামবাসীরা ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির উত্তর দারুয়া গ্রামের ঘটনা ৷ ঘটনাস্থান থেকে তিন যুবতিসহ এক যুবককে আটক করে কাঁথি থানার পুলিশ ৷ পরে মধুচক্রের পান্ডা শেখ মুরশেদকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে আটক করে পুলিশ ৷

শেখ মুরশেদের বাড়ি কাঁথির উত্তর দারুয়ায় ৷ পেশায় কাঁথি উপ সংশোধনাগারের অস্থায়ী অ্যাম্বুলেন্স চালক ৷ অভিযোগ, দু'মাস আগে দিঘা এবং মন্দারমণির হোটেলে বার ডান্সারের কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কলকাতা থেকে তিন যুবতিকে কাঁথি নিয়ে আসে মুরশেদ ৷ কিন্তু কাঁথি আসার পর ওই তিন যুবতি বুঝতে পারেন তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে ৷ পালানোর চেষ্টাও করেন ৷ কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের মারধর করা হয় ৷ জোর করে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করাত মুরশেদ ৷ শুধু তাই নয় নিজের গ্রামের বাড়িতেও কাস্টমার নিয়ে আসত সে ৷

ক'দিন ধরে মুরশেদের বাড়িতে অচেনা যুবকদের যাতায়াত দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের ৷ গতকাল সন্ধ্যায় ক'জন যুবককে মুরশেদের বাড়িতে ঢুকতে দেখে তাদের আটকান গ্রামবাসীরা ৷ এরপরেই মুরশেদের বাড়িতে চলা মধুচক্রের পরদা ফাঁস হয়ে যায় ৷ পুলিশে খবর দেন গ্রামবাসীরা ৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায় মুরশেদ ৷ পুলিশ ঘটনাস্থান থেকে তিন যুবতিসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করে ৷

ঘটনার প্রায় চার ঘণ্টা পর কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে মুরশেদকে দেখতে পান ক'জন গ্রামবাসী ৷ সেখানে চিকিৎসার জন্য সংশোধনাগারের বন্দিদের নিয়ে এসেছিল সে ৷ তাকে দেখতে পেয়েই ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা ৷ মুরশেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ৷ পরে তাকে আটক করে পুলিশ ৷

কাঁথি থানার IC সুনয়ন বসু বলেন, "গতকাল তিন যুবতিসহ দুই যুবককে গ্রামবাসীরা পুলিশের হাতে তুলে দেয় ৷ মোট পাঁচজনকে পুলিশ আটক করেছে ৷ "

Intro:মধুচক্রের তিন মহিলা সহ দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ ।

দীঘা মন্দারমনির মতো পর্যটন কেন্দ্রের নামীদামী হোটেলগুলোতে বার ড্যান্সারের কাজ পাইয়ে দেবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে কলকাতা থেকে তিন যুবতীকে নিয়ে এসে জোরপূর্বক যৌন কাজে লিপ্ত করিয়েছিল কাঁথির এক যুবক ।অভিযোগ ফুসলে নিয়ে এসেছিল এই তিন রমণীকে ।অভিযুক্ত যুবক মাস দুয়েক আগে কলকাতা থেকে নিয়ে এসে নিজের একটি অন্দরমহলে রেখেছিল তিন রমণীকে।তিন রমনি কাঁথি এসে বুঝতে পারে বাস্তবে ভালো হোটেল গুলোতে তেমন কোন ড্যান্সবার নেই ।তারপর বুঝতে পারে তারা প্রতারিত হয়েছে ।এরপর তারা বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করলে চলে মারধর ও অত্যাচার ।একে একে দিনের পর দিন তিন রমণীকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসার কাজে লাগায় অভিযুক্ত যুবক ।ধীরে ধীরে নিজের অন্দরমহলে ও কাস্টমারদের নিয়ে এসে দেহ ব্যবসার কাজে লিপ্ত করায এই তিন রমণীর সঙ্গে । এমনি করে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে থাকে অভিযুক্ত যুবক । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানা এলাকার উত্তর দারুয়ার বাসিন্দা মুরশেদ সেক হলেন অভিযুক্ত যুবক ।গ্রামের ওই যুবকের বাড়িতে বেশ কিছুদিন ধরে বাইরের ছেলেদের আনাগোনা দেখে তিন রমণী দিনের পর দিন এখানে আছে দেখে, গ্রামবাসীদের সন্দেহ দানা বাঁধে ।বুধবার রাতে কয়েকজন যুবক ওই অন্দরমহলে ঢুকতে দেখে গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলে বাড়ি ।এরপর ধরা পড়ে ঐ তিন যুবতী সহ একজন যুবক ।গ্রামবাসীদের রোষে পড়ে আসল রহস্য বেরিয়ে আসে ।যুবতীরা তাদের সমস্ত ঘটনা গ্রামবাসীদের জানায় । বেগতিক বুঝে অভিযুক্ত যুবক সেক মুরশেদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । ধরা পড়ে যায় অপর এক যুবক । পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধার করে তিন যুবতি সহ এক যুবককে । ঘটনার ঘন্টা চারেক পর এই রহস্য মোড় নেয় অন্য দিকে।অভিযুক্ত যুবক আর কেউ নন উনি হলেন স্বয়ং কাঁথি উপ সংশোধনাগারের একজন অ্যাম্বুলেন্সের গাড়ির চালক( শর্তসাপেক্ষে ) ।বরাতজোরে দুর্ভাগ্যবশত উক্ত যুবক কাঁথি উপ সংশোধনাগারের অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসার জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় । আর ওখানেই দেখতে পেয়ে যায় গ্রামবাসীরা । এরপর ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলে এবং চড়াও হয় ।পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে ওই যুবককে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পুলিশের সাথে চলে ধস্তাধস্তি । গ্রাম বাসি দের অভিযোগ অভিযুক্ত যুবক মুরশেদকে গ্রেফতার না করলে আমরা ছাড়বো না । বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিক্ষোভ চলার পর কোন রকমে উদ্ধার করে যুবককে থানায় নিয়ে আসে । অপরদিকে ৩ যুবতীসহ আরেক যুবককে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ ।গ্রামবাসীদের দাবি অভিযুক্ত যুবককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে । নইলে এমন জঘন্যতম অপরাধের জন্য লাগাতার আন্দোলনে বসতে পিছুপা হবেনা গ্রামবাসীরা । কাঁথি থানার আইসি সুনয়ন বাসু বলেন গতকাল রাতে তিন মহিলা সহ দুই যুবককে গ্রাম বাসিরা পুলিশের হাতে তুলে দেয়, মোট পাঁচ জন কে পুলিশ আটক করেছে ।Body:মধুচক্রের তিন মহিলা সহ দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ ।

দীঘা মন্দারমনির মতো পর্যটন কেন্দ্রের নামীদামী হোটেলগুলোতে বার ড্যান্সারের কাজ পাইয়ে দেবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে কলকাতা থেকে তিন যুবতীকে নিয়ে এসে জোরপূর্বক যৌন কাজে লিপ্ত করিয়েছিল কাঁথির এক যুবক ।অভিযোগ ফুসলে নিয়ে এসেছিল এই তিন রমণীকে ।অভিযুক্ত যুবক মাস দুয়েক আগে কলকাতা থেকে নিয়ে এসে নিজের একটি অন্দরমহলে রেখেছিল তিন রমণীকে।তিন রমনি কাঁথি এসে বুঝতে পারে বাস্তবে ভালো হোটেল গুলোতে তেমন কোন ড্যান্সবার নেই ।তারপর বুঝতে পারে তারা প্রতারিত হয়েছে ।এরপর তারা বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করলে চলে মারধর ও অত্যাচার ।একে একে দিনের পর দিন তিন রমণীকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসার কাজে লাগায় অভিযুক্ত যুবক ।ধীরে ধীরে নিজের অন্দরমহলে ও কাস্টমারদের নিয়ে এসে দেহ ব্যবসার কাজে লিপ্ত করায এই তিন রমণীর সঙ্গে । এমনি করে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে থাকে অভিযুক্ত যুবক । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানা এলাকার উত্তর দারুয়ার বাসিন্দা মুরশেদ সেক হলেন অভিযুক্ত যুবক ।গ্রামের ওই যুবকের বাড়িতে বেশ কিছুদিন ধরে বাইরের ছেলেদের আনাগোনা দেখে তিন রমণী দিনের পর দিন এখানে আছে দেখে, গ্রামবাসীদের সন্দেহ দানা বাঁধে ।বুধবার রাতে কয়েকজন যুবক ওই অন্দরমহলে ঢুকতে দেখে গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলে বাড়ি ।এরপর ধরা পড়ে ঐ তিন যুবতী সহ একজন যুবক ।গ্রামবাসীদের রোষে পড়ে আসল রহস্য বেরিয়ে আসে ।যুবতীরা তাদের সমস্ত ঘটনা গ্রামবাসীদের জানায় । বেগতিক বুঝে অভিযুক্ত যুবক সেক মুরশেদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । ধরা পড়ে যায় অপর এক যুবক । পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধার করে তিন যুবতি সহ এক যুবককে । ঘটনার ঘন্টা চারেক পর এই রহস্য মোড় নেয় অন্য দিকে।অভিযুক্ত যুবক আর কেউ নন উনি হলেন স্বয়ং কাঁথি উপ সংশোধনাগারের একজন অ্যাম্বুলেন্সের গাড়ির চালক( শর্তসাপেক্ষে ) ।বরাতজোরে দুর্ভাগ্যবশত উক্ত যুবক কাঁথি উপ সংশোধনাগারের অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসার জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় । আর ওখানেই দেখতে পেয়ে যায় গ্রামবাসীরা । এরপর ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলে এবং চড়াও হয় ।পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে ওই যুবককে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পুলিশের সাথে চলে ধস্তাধস্তি । গ্রাম বাসি দের অভিযোগ অভিযুক্ত যুবক মুরশেদকে গ্রেফতার না করলে আমরা ছাড়বো না । বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিক্ষোভ চলার পর কোন রকমে উদ্ধার করে যুবককে থানায় নিয়ে আসে । অপরদিকে ৩ যুবতীসহ আরেক যুবককে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ ।গ্রামবাসীদের দাবি অভিযুক্ত যুবককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে । নইলে এমন জঘন্যতম অপরাধের জন্য লাগাতার আন্দোলনে বসতে পিছুপা হবেনা গ্রামবাসীরা । কাঁথি থানার আইসি সুনয়ন বাসু বলেন গতকাল রাতে তিন মহিলা সহ দুই যুবককে গ্রাম বাসিরা পুলিশের হাতে তুলে দেয়, মোট পাঁচ জন কে পুলিশ আটক করেছে ।Conclusion:মধুচক্রের তিন মহিলা সহ দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ ।

দীঘা মন্দারমনির মতো পর্যটন কেন্দ্রের নামীদামী হোটেলগুলোতে বার ড্যান্সারের কাজ পাইয়ে দেবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে কলকাতা থেকে তিন যুবতীকে নিয়ে এসে জোরপূর্বক যৌন কাজে লিপ্ত করিয়েছিল কাঁথির এক যুবক ।অভিযোগ ফুসলে নিয়ে এসেছিল এই তিন রমণীকে ।অভিযুক্ত যুবক মাস দুয়েক আগে কলকাতা থেকে নিয়ে এসে নিজের একটি অন্দরমহলে রেখেছিল তিন রমণীকে।তিন রমনি কাঁথি এসে বুঝতে পারে বাস্তবে ভালো হোটেল গুলোতে তেমন কোন ড্যান্সবার নেই ।তারপর বুঝতে পারে তারা প্রতারিত হয়েছে ।এরপর তারা বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করলে চলে মারধর ও অত্যাচার ।একে একে দিনের পর দিন তিন রমণীকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসার কাজে লাগায় অভিযুক্ত যুবক ।ধীরে ধীরে নিজের অন্দরমহলে ও কাস্টমারদের নিয়ে এসে দেহ ব্যবসার কাজে লিপ্ত করায এই তিন রমণীর সঙ্গে । এমনি করে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে থাকে অভিযুক্ত যুবক । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানা এলাকার উত্তর দারুয়ার বাসিন্দা মুরশেদ সেক হলেন অভিযুক্ত যুবক ।গ্রামের ওই যুবকের বাড়িতে বেশ কিছুদিন ধরে বাইরের ছেলেদের আনাগোনা দেখে তিন রমণী দিনের পর দিন এখানে আছে দেখে, গ্রামবাসীদের সন্দেহ দানা বাঁধে ।বুধবার রাতে কয়েকজন যুবক ওই অন্দরমহলে ঢুকতে দেখে গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলে বাড়ি ।এরপর ধরা পড়ে ঐ তিন যুবতী সহ একজন যুবক ।গ্রামবাসীদের রোষে পড়ে আসল রহস্য বেরিয়ে আসে ।যুবতীরা তাদের সমস্ত ঘটনা গ্রামবাসীদের জানায় । বেগতিক বুঝে অভিযুক্ত যুবক সেক মুরশেদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । ধরা পড়ে যায় অপর এক যুবক । পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধার করে তিন যুবতি সহ এক যুবককে । ঘটনার ঘন্টা চারেক পর এই রহস্য মোড় নেয় অন্য দিকে।অভিযুক্ত যুবক আর কেউ নন উনি হলেন স্বয়ং কাঁথি উপ সংশোধনাগারের একজন অ্যাম্বুলেন্সের গাড়ির চালক( শর্তসাপেক্ষে ) ।বরাতজোরে দুর্ভাগ্যবশত উক্ত যুবক কাঁথি উপ সংশোধনাগারের অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসার জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় । আর ওখানেই দেখতে পেয়ে যায় গ্রামবাসীরা । এরপর ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলে এবং চড়াও হয় ।পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে ওই যুবককে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পুলিশের সাথে চলে ধস্তাধস্তি । গ্রাম বাসি দের অভিযোগ অভিযুক্ত যুবক মুরশেদকে গ্রেফতার না করলে আমরা ছাড়বো না । বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিক্ষোভ চলার পর কোন রকমে উদ্ধার করে যুবককে থানায় নিয়ে আসে । অপরদিকে ৩ যুবতীসহ আরেক যুবককে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ ।গ্রামবাসীদের দাবি অভিযুক্ত যুবককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে । নইলে এমন জঘন্যতম অপরাধের জন্য লাগাতার আন্দোলনে বসতে পিছুপা হবেনা গ্রামবাসীরা । কাঁথি থানার আইসি সুনয়ন বাসু বলেন গতকাল রাতে তিন মহিলা সহ দুই যুবককে গ্রাম বাসিরা পুলিশের হাতে তুলে দেয়, মোট পাঁচ জন কে পুলিশ আটক করেছে ।
Last Updated : Sep 12, 2019, 6:04 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.