তমলুক, 8 এপ্রিল : এলাকায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাত । অথচ প্রশাসনের তরফে এলাকায় কোনও জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়নি । গতকাল এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাসিন্দারা । সেই খবর প্রকাশিত হয় ETV ভারতে । তারপরই নড়েচড়ে বসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন । আজ সকাল থেকে শুরু হয় এলাকা স্যানিটাইজ়িংয়ের কাজ ।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, 31 মার্চ রাতে জানা যায়, তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের একটি গ্রামের 80 বছর বয়সি বৃদ্ধ কোরোনায় আক্রান্ত । ওই বৃদ্ধ কলকাতায় পানের ব্যবসা করেন । পরে তাঁরই পরিবারের আরও চারজনের শরীরে কোরোনার হদিস মেলে । 3 এপ্রিল ওই গ্রামেরই এক চিকিৎসকের কোরোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় । পরে জানা যায়, ওই চিকিৎসকই প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করেছিলেন গ্রামের কোরোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধের । 6 এপ্রিল রাতে জানা যায়, ওই চিকিৎসকের বউমাও কোরোনায় আক্রান্ত । ফলে তমলুকের এই একটি গ্রামেই কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাত ।
পরিসংখ্যান বলছে, সমগ্র জেলায় তমলুকের ওই গ্রামেই কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি । অথচ তমলুকের বিভিন্ন প্রান্তে স্যানিটাইজ়িং করা হলেও কোরোনা আক্রান্তদের ওই গ্রামে তা করা হয়নি । আর সেটা নিয়েই গতকাল ETV ভারতের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসী । তাঁদের আতঙ্ক ও প্রশাসনের গাফিলতির কথা প্রকাশ করে ETV ভারত । সেই খবর প্রকাশের 24 ঘণ্টার মধ্যেই তৎপর হল জেলা প্রশাসন । সকাল থেকেই দমকলের একটি ইঞ্জিন তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী বল্কের বিভিন্ন জায়গায় জীবাণুনাশক স্প্রে করতে শুরু করে । পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, এখন থেকে নিয়মিত স্প্রে করা হবে ওই এলাকায় ।
![Tamluk](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wbemid1tamluketvbharatnewsimpactvis7204300_08042020115547_0804f_1586327147_96.jpg)
এ বিষয়ে বলুক 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শরৎচন্দ্র মেট্যিয়া বলেন, "সাতদিন আগে এলাকায় প্রথম আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায় । পরে সংখ্যাটা বেড়ে সাত হয়ে দাঁড়ায় । তা সত্ত্বেও এলাকাকে স্যানিটাইজ় না করায় খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম । আপনাদের সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশের পর আজ সকাল থেকেই দমকল তার কাজ শুরু করেছে । তার জন্য ETV ভারতকে ধন্যবাদ ।"