হলদিয়া, 24 আগস্ট : হলদিয়া টাউনশিপ রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের (IOC) তৃণমূল কর্মী সংগঠনের সভাপতি পদে ফিরলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। জেলার INTTUC-র কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকার সভাপতি পদে দিব্যেন্দু অধিকারীকে পুনর্বহাল করার কথা জানান আজ। এদিকে, দিব্যেন্দু অধিকারীর নতুন করে সভাপতি পদে ফেরা অগণতান্ত্রিক বলে দাবি করলেন হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ মণ্ডল। গোটা ঘটনায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হলদিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
19 অগাস্ট হলদিয়া টাউনশিপ রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের (IOC) তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের সাধারণ সভা হয়। সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে দীর্ঘ দুই বছর ধরে ছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। সংগঠনের একাধিক সদস্যের অভিযোগ, বিপদে-আপদে দিব্যেন্দু অধিকারীকে পাওয়া যায়নি ৷ তাই তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংখ্যা গরিষ্ঠতা অনুযায়ী ওই সভায় শ্রমিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি তথা হলদিয়ার প্রাক্তন পৌরপ্রধান দেবপ্রসাদ মণ্ডলকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয় । পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। এই ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় পুনর্বহাল করা হল দিব্যেন্দু অধিকারীকে । এইসঙ্গে 19 তারিখের সভাকে অগণতান্ত্রিক ও দলীয় নীতি বিরোধী বলে জানানো হয় জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে।
জেলার INTTUC-র কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকার বলেন, "সংগঠনের কিছু লোক অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সভাপতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই কারণেই জেলা শ্রমিক সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সভাপতি পদে পুনর্বহাল করা হল দিব্যেন্দু অধিকারীকে। দেবপ্রসাদ মণ্ডলকে পদ থেকে সরানো হয়েছে।"
যদিও INTTUC-র কার্যকরী সভাপতির একথা মানতে নারাজ দেবপ্রসাদ মণ্ডল। তিনি বলেন, "INTTUC-র নীতি মেনে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আমি সভাপতি পদে বসে ছিলাম। রাজ্য নেতৃত্বকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি। এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি ৷ পরবর্তী নিদের্শ এলে পদক্ষেপ নেব।"
এবিষয়ে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "হলদিয়ায় দলের ওই শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির পদে আমি ছিলাম এবং আছি।"