কাঁথি, 24 এপ্রিল: দিন দশেক আগে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে কোরোনা উপসর্গ নিয়ে ভরতি হওয়া এক যুবকের মৃত্যু হল আজ। তাঁর মৃত্যু শ্বাসকষ্টে হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর । যদিও ওই যুবকের সোয়াবের নমুনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
15 এপ্রিল কোরোনার উপসর্গ নিয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন 3 জন। তাঁদের মধ্যে এগরা থানার বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা শংকর জানা (32) ও কাঁথি 1 নম্বর ব্লকের পিছাবনি গ্রামের এক দম্পতির সোয়াবের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। যা পরদিনই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। যদিও তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। এরপর বাসুদেবপুরের ওই যুবককে হাসপাতালের জেনেরাল বেডে রাখা হয়। টানা দশ দিন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার দুপুরে যুবকের অতিরিক্ত শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে কাঁথি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে এগরার গ্রামে যুবকের দেহ দাহ করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন। এরপর কাঁথি খড়্গচণ্ডী শ্মশানে পুলিশ পাহারায় দাহ করা হয় শংকর জানার দেহ।
এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের CMOH-কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "বিষয়টি আমার জানা নেই। এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।"