পাঁশকুড়া, ১৭ মার্চ : সিনিয়রের লাঠির আঘাতে চোখ নষ্ট হল ক্লাস ফাইভের ছাত্রের। নাম জয়দীপ নস্কর। ঘটনাটি পাঁশকুড়ার আবাসিক স্কুলের। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন ছাত্রের মা সীমা নস্কর। থানাতেও দায়ের হয়েছে অভিযোগ। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
১০ জানুয়ারি জয়দীপ পাঁশকুড়ার মেচোগ্রাম বসন্ত আবাস শিক্ষা সদনে ভরতি হয়। বাড়িতে ফিরে বেশিরভাগ সময়ে সে অভিযোগ জানাত, সিনিয়র দাদারা মারধর করেছে। সীমার অভিযোগ, বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে একথা জানানোর পরও লাভ হয়নি।
৫ মার্চ রাত ১০টা নাগাদ স্কুলের তরফে জয়দীপের বাড়িতে ফোন আসে। সীমা বলেন, "আমাকে ফোন করে বলা হয়, খেলার সময় পড়ে গিয়ে ছেলের চোখে চোট লেগেছে। তাকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রেফার করা হয় তমলুকে। বলা হয়, আপনারা দ্রুত তমলুক জেলা হাসপাতালে আসুন।"
এরপর জয়দীপকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজে। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ৬ মার্চ তার অপারেশন হয়। তবে, তার ডান চোখ ঠিক করা সম্ভব হয়নি। এরপর জয়দীপ মাকে জানায়, ক্লাস ইলেভেনের এক ছাত্র চোখে লাঠি ছুড়ে মারে। এরপর থেকেই ডান চোখে সে দেখতে পারছিল না।
সীমা বলেন, "আমরা ঘটনার কথা বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাই। কিন্তু, ওরা এড়িয়ে যায়।" অবশেষে ১৫ মার্চ অভিযুক্ত ছাত্র ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জয়দীপের পরিবার।
এদিকে, ওই স্কুলের জীবনবিজ্ঞান শিক্ষক তথা হস্টেল ইনচার্জ তুফান দাস বলেন, "যে ছেলেটি মেরেছে তার বাড়ি নিউটাউন এলাকায়। জয়দীপের বাবা-মা তাকে চেনে। এমনকী, তাকেই দেখভালের কথা বলে গেছিল। আমাদের মনে হয়, হাতে মারতে গিয়ে কোনওভাবে চোখে লেগে গেছে। তাই এই দুর্ঘটনা। পরিবারকে সবকিছু জানিয়েছি। কেন অভিযোগ করা হল বুঝতে পারছি না।"