কোলাঘাট, ২৪ ফেব্রুয়ারি : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে যুবতিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃতের নাম মায়া চক্রবর্তী(২২)। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনায় স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বছর চারেক আগে কোলাঘাটের লক্ষ্মীকান্ত চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে হয় সুতাহাটার মায়া চক্রবর্তীর। লক্ষ্মীকান্ত পেশায় সোনার গয়নার কারিগর। কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। জানা যায়, সম্প্রতি স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই যুবতি। প্রায়ই তার বাড়িতে যাতায়াত করত ওই যুবক। দিন দশেক আগে শ্বশুরবাড়ির এক সদস্য তাদের নাকি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শও দেওয়া হয়। বিষয়টি জানার পর চারদিন আগে বাড়ি ফেরে লক্ষ্মীকান্ত। স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হয়। আর গতকান অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই যুবতির অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।
মৃতের বাবা সীতানাথ চক্রবর্তী বলেন, "জামাই ও শাশুড়ি মেয়ের উপর খুব অত্যাচার করত। জামাই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে প্রায়ই মেয়ের উপর অত্যাচার করত। এর আগেও মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের যে অভিযোগ ওরা এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওরা পরিকল্পনা করে খুন করেছে আমার মেয়েকে। আমি ওদের শাস্তি চাই।"
সীতানাথবাবুর এই অভিযোগ অস্বীকার করেন মৃতার শাশুড়ি গায়েত্রী চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "আমরা গতকাল সবাই বাড়ির বাইরে কাজ করছিলাম। সেই সময় বউমা ঘরে খিল দিয়ে গায়ে আগুন লাগায়। বউমার সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা আগে থেকে কিছুই জানতাম না। কয়েকদিন আগে ওই যুবককে ফোন করে বাড়িতে ডেকে এনেছিল বউমা। আমার ছেলে তখন বাইরেই ছিল। আমার সেজ বউমা দেখতে পেয়ে ওদের ধরে ফেলে। তারপরই গতকাল বউমা আত্মহত্যা করে।"
কোলাঘাট থানার OC কাশীনাথ চৌধুরি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।