ETV Bharat / state

রাতবিরেতে নির্দেশ, "হোটেল ছেড়ে বাড়ি যান" ! ফাঁপরে দিঘার পর্যটকরা - bdo

এই নির্দেশের কথা অজানা স্বয়ং BDO-র।

fani
author img

By

Published : May 3, 2019, 2:14 AM IST

দিঘা, 3 মে : কয়েকঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে আছড়ে পড়বে ফণী । কী করবেন, কী করবেন না তা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রচার । ইতিমধ্যে পুরি থেকে পর্যটকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা প্রশাসন । একই ছবি এরাজ্যের দিঘাতেও । তবে প্রচার নিয়ে বিপত্তিতে পড়লেন পর্যটকরা । প্রায় তিনঘণ্টা পর কিছুটা মিটল সমস্যা ।

শুনুন সেই নির্দেশ

গতকাল রাত 9টা । দিঘায় একটি গাড়িতে করে প্রচার চলছে । যেখানে পর্যটকদের বলা হচ্ছে, "জেলা প্রশাসন কর্তৃক সমস্ত পর্যটকদের বলা হচ্ছে, তাঁরা যেন যে যার বাড়ি চলে যান ।" গাড়ির সামনে লেখা "on Duty BDO"। প্রশাসনের এই ঘোষণা কানে পৌঁছাতেই চমকে ওঠেন পর্যটকরা । কারণ দিনভর প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়েছিল সমুদ্র থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে । নিষেধাজ্ঞা ছিল সমুদ্র স্নানেও ।

রাত 9টায় এই ঘোষণা শুনেই পর্যটকরা পাততাড়ি গুটিয়ে বেরিয়ে এলেন হোটেল থেকে । এরপরই হল বিপত্তি । হোটেল থেকে বেরিয়ে জানতে পারলেন তাঁদের বাড়ি যাওয়ার জন্য কোনও ব্যবস্থাই করেনি প্রশাসন । ফণীর জন্য রাস্তায় গাড়িও নেই । তার উপর শুরু হয়েছে বৃষ্টি । বইছে মৃদু বাতাস । ফলে হোটেল না বাড়ি তা নিয়ে দোটানায় পড়েন পর্যটকরা । অনেকে ক্ষোভ উগড়ে দেন । প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন ।

হাওড়ার পর্যটক মিলন রায় বলেন, "দিঘা ছেড়ে চলে যাওয়ার রাতারাতি এই ঘোষণায় আমরা চূড়ান্ত অব্যবস্থার শিকার । এমনিতেই ঝড়-জলের রাত । স্বাভাবিকভাবে গাড়িঘোড়াও তেমন নেই । আমরা রাতারাতি কীভাবে পরিবার নিয়ে ফিরব ? প্রশাসনের তরফে বাড়ি ফেরার কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি ।"

কেন এই অব্যবস্থা?

রামনগর 1 নম্বর ব্লকের BDO আশিস রায় জানান, এই ঘোষণার কথা তাঁর অজানা । বলেন, "আমাদের ব্লক প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করতে বলা হয়েছিল সমুদ্র থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে । এবং রাতের পর হোটেলের বাইরে না বেরোতে । ভুল কী ঘোষণা হচ্ছে তা আমরা দ্রুত খতিয়ে দেখছি ।"

তবে এই সমস্যা মেটে রাত 12টা নাগাদ । পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, "লোকাল বাস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে । তারা সারারাত দিঘা থেকে বাস চালানোর আশ্বাস দিয়েছে ।" পর্যটকদের প্রশ্ন, "আশ্বাস তো মিলেছে, কাজের কাজ হবে কি ?"

দিঘা, 3 মে : কয়েকঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে আছড়ে পড়বে ফণী । কী করবেন, কী করবেন না তা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রচার । ইতিমধ্যে পুরি থেকে পর্যটকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা প্রশাসন । একই ছবি এরাজ্যের দিঘাতেও । তবে প্রচার নিয়ে বিপত্তিতে পড়লেন পর্যটকরা । প্রায় তিনঘণ্টা পর কিছুটা মিটল সমস্যা ।

শুনুন সেই নির্দেশ

গতকাল রাত 9টা । দিঘায় একটি গাড়িতে করে প্রচার চলছে । যেখানে পর্যটকদের বলা হচ্ছে, "জেলা প্রশাসন কর্তৃক সমস্ত পর্যটকদের বলা হচ্ছে, তাঁরা যেন যে যার বাড়ি চলে যান ।" গাড়ির সামনে লেখা "on Duty BDO"। প্রশাসনের এই ঘোষণা কানে পৌঁছাতেই চমকে ওঠেন পর্যটকরা । কারণ দিনভর প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়েছিল সমুদ্র থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে । নিষেধাজ্ঞা ছিল সমুদ্র স্নানেও ।

রাত 9টায় এই ঘোষণা শুনেই পর্যটকরা পাততাড়ি গুটিয়ে বেরিয়ে এলেন হোটেল থেকে । এরপরই হল বিপত্তি । হোটেল থেকে বেরিয়ে জানতে পারলেন তাঁদের বাড়ি যাওয়ার জন্য কোনও ব্যবস্থাই করেনি প্রশাসন । ফণীর জন্য রাস্তায় গাড়িও নেই । তার উপর শুরু হয়েছে বৃষ্টি । বইছে মৃদু বাতাস । ফলে হোটেল না বাড়ি তা নিয়ে দোটানায় পড়েন পর্যটকরা । অনেকে ক্ষোভ উগড়ে দেন । প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন ।

হাওড়ার পর্যটক মিলন রায় বলেন, "দিঘা ছেড়ে চলে যাওয়ার রাতারাতি এই ঘোষণায় আমরা চূড়ান্ত অব্যবস্থার শিকার । এমনিতেই ঝড়-জলের রাত । স্বাভাবিকভাবে গাড়িঘোড়াও তেমন নেই । আমরা রাতারাতি কীভাবে পরিবার নিয়ে ফিরব ? প্রশাসনের তরফে বাড়ি ফেরার কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি ।"

কেন এই অব্যবস্থা?

রামনগর 1 নম্বর ব্লকের BDO আশিস রায় জানান, এই ঘোষণার কথা তাঁর অজানা । বলেন, "আমাদের ব্লক প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করতে বলা হয়েছিল সমুদ্র থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে । এবং রাতের পর হোটেলের বাইরে না বেরোতে । ভুল কী ঘোষণা হচ্ছে তা আমরা দ্রুত খতিয়ে দেখছি ।"

তবে এই সমস্যা মেটে রাত 12টা নাগাদ । পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, "লোকাল বাস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে । তারা সারারাত দিঘা থেকে বাস চালানোর আশ্বাস দিয়েছে ।" পর্যটকদের প্রশ্ন, "আশ্বাস তো মিলেছে, কাজের কাজ হবে কি ?"

sample description
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.