নন্দীগ্রাম, 16 ডিসেম্বর: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম 1 নম্বর ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি । অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে (Allegations of Bombing at TMC Leader House) ।
বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় কার্যত নতুন করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছয় নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী । শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ৷
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্বপন করের বাড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ । শুধু তাই নয়, দুষ্কৃতীরা পরিবারের সদস্যদের খুনের হুমকিও দেয় । স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে পড়লে সেখান থেকে অবস্থা বেগতিক বুঝে পালিয়ে দুষ্কৃতীরা যায় । শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে হাজির হয় নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ।
গোকুলনগর তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতি স্বপন করের বাবা জহরলাল কর বলেন, "গভীর রাতে বাড়িতেই বোমাবাজি করে বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা । গত কয়েকদিন আগে ওই বুথে তৃণমূলের পোস্টার পুড়িয়ে দিয়েছিল । 2008 সাল থেকে আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করছি । কখনও প্রধান ও উপপ্রধান হয়েছি । গ্রামের বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ মাইতির নেতৃত্বে এমন হামলা চালানো হয়েছে । প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছি ।"
আরও পড়ুন: কাঁচরাপাড়ায় বিজেপি যুব মোর্চার নেতার বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ
যদিও তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিজেপি । তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি সাহেব দাস বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 1,956 ভোটে হেরেছে শুভেন্দুবাবুর কাছে । এই হার কোনমতেই মেনে নিতে পারছেন না । কুণাল ঘোষকে পাঠিয়ে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে ।"
তিনি আরও বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবেই যুক্ত নয় । তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে । শেখ সুফিয়ার ও বাপ্পাদিত্য করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এমন ঘটনা । বিজেপির উপর দায় চাপাচ্ছে তৃণমূল ।"