খেজুরি, 10 জুলাই: বিবাহিত এক বিজেপি নেতার সঙ্গে দুই বিবাহিত মহিলার জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে(Allegation of the forcible marriage of 2 women with BJP leader in Khejuri)৷ এতেই শেষ নয়, স্থানীয় একটি মনসা মন্দিরে বিয়ে দেওয়ার পর তাঁদের ভ্যানে চাপিয়ে সারা গ্রাম ঘোরানোর ছবিও দেখা গিয়েছে ৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি বাঁশগোড়া এলাকায় ৷ বিজেপি কিষান মোর্চার সভাপতি তথা বিজেপি নেতা মানস কামিলাকে এইভাবে হেনস্তার অভিযোগ উঠল । যদিও পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷
জানা গিয়েছে, খেজুরি তেখালি বাজারে সোনার দোকান রয়েছে বিজেপি নেতা মানস কামিলার । তিনি আবার খেজুরির কিষান মোর্চার সভাপতিও । অভিযোগ, গত 30 জুন দুই মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামবাসীরা ধরে ফেলে মানস কামিলাকে ৷ পরের দিন সকালে একটি মন্দিরে পুরোহিত ডেকে বাজনা বাজিয়ে ওই বিজেপি নেতার সঙ্গে দুই মহিলার বিয়ে দেন গ্রামবাসীরা । এরপর তাদের সারা গ্রাম ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ । এমনকী বাজি ফাটিয়ে গ্রামের মানুষদের মিষ্টিও বিলি করা হয় ।
যদিও এই ঘটনার পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন দুই মহিলা-সহ বিজেপি নেতা মানস কামিলা । পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । এরপর তাঁরা আদালতে এফআইআর দায়ের করেন ৷
আরও পড়ুন : জুলাইয়ে পূর্ব মেদিনীপুর সফরে মুখ্যমন্ত্রী, উদ্বোধন করবেন মেরিন ড্রাইভ
বিজেপি নেতা মানস কামিলার কথায়, "আমি বিজেপি নেতা । খেজুরির দেখালি বাজারে 20 বছর ধরে সোনার দোকান রয়েছে । এখানকার কিছু দুষ্কৃতী দীর্ঘদিন ধরে আমার পিছনে পড়েছিল । আমি আত্মীয়র বাড়ি গেলে ওরা 10-15 জন মিলে আমাকে ঘিরে ধরে । আমার কাছ থেকে নগদ 60 হাজার টাকা ও সোনার আংটি কেড়ে নেয় । সারারাত আমাকে মারধর করে পরের দিন সকালে গ্রামের মন্দিরে দুই মহিলা সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয় ।"
যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে স্থানীয় হলুদবাড়ি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আলাপন দাস বলেন,"বিষয়টি শুনেছি । এখানে কোনও রাজনৈতিক রং নেই । এটা আসলে গ্রামবাসীদের বিষয় । এটা একটা অবৈধ সম্পর্কের জেরে ঘটা ঘটনা । গত তিন বছর ধরে এরা অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিল । এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না ।"
আরও পড়ুন : সিমেন্টের বস্তাবোঝাই গাড়ি থেকে উদ্ধার 348 কেজি গাঁজা, ধৃত 1
খেজুরির বিজেপি নেতা তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দলুই বলেন,"মানস কামিলা আমাদেরই দলের কর্মী । বিষয়টি শুনেছি । সারা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জঙ্গলরাজ শুরু করেছে । এই ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয় ।"
তবে পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন কাঁথির পুলিশ সুপার । কাঁথি মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, "বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাঁদের ৷ তবে সবাই বিবাহিত বলে জানা গিয়েছে । অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।"
আরও পড়ুন : দলীয় কোন্দলের জেরে বন্ধ ছাই খাদান, থানায় বিক্ষোভ শ্রমিকদের