তমলুক, 22 এপ্রিল : মহিলার রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ! বৃহস্পতিবার বাঁশঝাড়ের পাশে নির্জন জায়গায় এক 58 বছরের মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার (Woman Dead Body Found in Tamluk) । ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তমলুক থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃতদেহ পাশেই পড়েছিল একাধিক মদের বোতল। এটা খুন না অন্যকিছু, তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
জানা যায়, মৃত মহিলা হলেন ধ্রুপদী মিদ্যার বয়স 58। মৃত মহিলার বাড়ি তমলুক থানার রঘুনাথপুর গ্রামে। বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পড়েছিল মৃতদেহ। ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি। তবে ঠিক কী কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হল তা এখনও পরিষ্কার নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে ওই বাঁশবাগানে মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তাঁরা তমলুক থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রথমে মৃতদেহটি পরিচয় উদ্ধার না হলেও পরে তাঁর পরিচয় খুঁজে বের করে পুলিশ। মৃত মহিলার গলায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই মহিলার ছেলে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। মৃত মহিলা ধ্রুপদী মিদ্যা স্থানীয় এলাকায় ফুচকার ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন : তারকেশ্বরে হোটেলের ঘরে যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
মৃত মহিলার ছেলে উত্তম মিদ্যা বলেন, "মা প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বেরোতেন। আজও তাই গিয়েছিলেন ৷ আমি সকালে কাজে চলে গিয়েছিলাম তখন মাকে দেখিনি। মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করে জানালে ঘটনাস্থলে এসে দেখলাম এই অবস্থা।" মৃতের ছেলের অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল প্রতিবেশীদের সঙ্গে। মাকে শাসানি দিত স্থানীয়রা। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিত।
তমলুক থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটাই পরিষ্কার হবে ৷"