কাঁথি, 16 মে : জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন । সেখান থেকে তাঁকে NRS-এ স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু, তিনি হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন । পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন । গতকাল তাঁর রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ আসে । এরপরই নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও 30 জন স্বাস্থ্যকর্মীকে পাঠানো হয় হোম কোয়ারানটিনে ।
ওই কোরোনা আক্রান্ত জুনপুট কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা । বয়স 50 বছর । কাঁথির ভাড়াবাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন । 9 মে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কাঁথিরই এক চিকিৎসকের কাছে যান । কিন্তু শরীর সুস্থ না হওয়ায় 11 মে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হন । ওইদিন রাতেই তাঁকে কলকাতার NRS-এ স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু তিনি হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন । পরে সেখান থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন । ওই হাসপাতালের তরফে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । গতকাল নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে । তাতে দেখা যায়, তিনি কোরোনা পজ়িটিভ ।
ওই ব্যক্তির কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেতেই নড়েচড়ে বসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । ব্যক্তির পরিবাররে তিনজনকে কোরোনা চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত চণ্ডীপুরের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পাশাপাশি ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা কাঁথি মহকুমার হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও 30 জন স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হয় । ইতিমধ্যে তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ।
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, "কাঁথির এক ব্যক্তির রিপোর্টে গতকাল কোরোনা পজ়িটিভ পাওয়া গেছে । তাঁর পরিবারের তিন জনকে চণ্ডীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । কাঁথি শহরের যে চিকিৎসক ও কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ।"