কালনা, 20 নভেম্বর: ধান সেদ্ধ করার স্টিম ঘরের গোডাউন থেকে উদ্ধার হল বস্তাবন্দি এক তরুণের মৃতদেহ । মৃতের নাম রকি হালদার (18)। সোমবার এই ঘটনার জেরে পূর্ব বর্ধমানের কালনার রংপাড়া গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় । খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় । রকির পরিবারের অভিযোগ তাকে খুন করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু'মাস ধরে কালনার ধর্মডাঙা গ্রামে রকি তার মায়ের সঙ্গে একটা ধান সেদ্ধর স্টিমে কাজ করত । গতকাল সন্ধে থেকে সে বাড়ি ফেরেনি । তার মা রীনা হালদার রকিকে ফোন করে । সাড়ে সাতটা নাগাদ সে একবার ফোনে কথা বলে । এরপর রাত ন'টা নাগাদ ফের ফোন করলে তার মা সুইচড অফ পায় । এরপর রাতে খোঁজাখুঁজি শুরু হয় । এদিকে তার কাছে যেহেতু গোডাউনের চাবি থাকত তাই অন্যান্য কর্মীরা তাকে ফোন করে । কিন্তু তার মোবাইল সুইচড অফ থাকায় কর্মীরা মালিককে বিষয়টি জানায় । এরপর তালা ভেঙে তারা গোডাউনের ভিতরে ঢোকে । কিছুক্ষণ পরে রকির মা লক্ষ্য করেন গোডাউনের এক কোনায় রকি উপুড় হয়ে পড়ে আছে । তার গলা বস্তার ভিতরে ভরা আছে । পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে । তার গলায় ফাঁসের দাগ ছিল বলে দাবি পরিবারের ।
মৃতের মা রীনা হালদার বলেন, "কালকে সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ যখন ফোন করি তখন ফোনে কথা বলে । এরপর রাত ন'টা থেকে ফোন সুইচড অফ পাই । এরপর রাতে খোঁজাখুঁজি শুরু করি । এদিন গোডাউনের ভিতরে তার দেহ উদ্ধার হয় ।" গোডাউনের কর্মী গোবিন্দ মণ্ডলের কথায়, "আমরা প্রতিদিনের মতো কাজ করতে আসি । রকির কাছেই গোডাউনের চাবি থাকত । তাই ওকে ফোন করি । কিন্তু ওর মোবাইলের সুইচড অফ থাকায় মালিককে ফোন করে ডাকি । এরপর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকি । ভিতরে প্রথমে কোনও কিছু খেয়াল করিনি । রকি ঘরের কোনায় পড়েছিল । সেটা ওর মা এসে দেখেছে । ওর মা ডাকাডাকি করে । আমি গিয়ে বস্তা খুলেছি । ছেলেটা উপুড় হয়ে পড়েছিল । মাথা বস্তায় ঢোকানো ছিল । প্রথমে আমি মনে করি যে সে নেশা করে পড়ে আছে । পরে দেখি দেহ শক্ত হয়ে গিয়েছে ।"
মৃতের মামা শ্যামল হালদার বলেন, "আমার মনে হচ্ছে রকিকে খুন করে বস্তার ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে । তবে কে বা কারা মেরেছে বুঝতে পারছি না । তার গলায় কালো একটা ফাঁসের দাগ আছে । পুলিশ এসেছিল ৷"
আরও পড়ুন :
1 ভিন রাজ্যে দেহ পাচারের পরিকল্পনা, পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
2 বিরলতম ! গর্ভেই মৃত প্রথম ভ্রূণ, 125 দিন পর দ্বিতীয় শিশুর জন্ম বর্ধমান মেডিক্যালে