ETV Bharat / state

মহিলা কনস্টেবলকে চড় তৃণমূল কাউন্সিলরের ! - kalna

এক মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। কালনার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোকুলচন্দ্র বায়েনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা কনস্টেবলের স্বামী। ঘটনায় এলাকায় উত্তজনা ছড়িয়েছে।

মহিলা কনস্টেবল
author img

By

Published : Mar 8, 2019, 9:21 PM IST

কালনা, ৮ মার্চ : এক মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। কালনার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোকুলচন্দ্র বায়েনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা কনস্টেবলের স্বামী। ঘটনায় এলাকায় উত্তজনা ছড়িয়েছে।

কাউন্সিলর গোকুলচন্দ্র বায়েনের ইট, সিমেন্ট, বালির ব্যবসা রয়েছে। আজ সকালে কালনার ধর্মডাঙা মোড় এলাকায় রাস্তার উপর বালির গাড়ি দাঁড় করিয়ে বালি নামানোর কাজ করছিলেন তিনি। দিনের ব্যস্ততম সময়ে রাস্তার উপর বালির গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় ব্যাপক যানজট হয়। প্রতিদিনই প্রায় ওই মহিলা কনস্টেবলের অফিসে পৌঁছতে দেরি হয়ে যেত। তাই আজ চন্দনা মণ্ডল নামে ওই কনস্টেবল কাউন্সিলরকে উপদেশ দেন, ভোরের দিকে কাজ করে নিলে ভালো হয়। তাহলে যানজটের সমস্যা হয় না। চন্দনার অভিযোগ, এই কথা শোনার পরই কাউন্সিলর তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন। তাঁর সাইকেলটি রাস্তায় ফেলে ভেঙে দেন। তাঁকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যান নিজের দোকানে। সেখানে চড় মারেন। এরপর সেখানেই জ্ঞান হারান তিনি। পরে স্থানীয় দুই মহিলা তাঁকে উদ্ধার করে সুস্থ করে তোলেন। পরে থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। থানা থেকে আধিকারিকরা এসে তাঁকে কালনা হাসপাতালে ভরতি করেন।

অন্যদিকে এই বিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে, তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) সৈকত ঘোষ বলেন, "একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।"

কালনা, ৮ মার্চ : এক মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। কালনার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোকুলচন্দ্র বায়েনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা কনস্টেবলের স্বামী। ঘটনায় এলাকায় উত্তজনা ছড়িয়েছে।

কাউন্সিলর গোকুলচন্দ্র বায়েনের ইট, সিমেন্ট, বালির ব্যবসা রয়েছে। আজ সকালে কালনার ধর্মডাঙা মোড় এলাকায় রাস্তার উপর বালির গাড়ি দাঁড় করিয়ে বালি নামানোর কাজ করছিলেন তিনি। দিনের ব্যস্ততম সময়ে রাস্তার উপর বালির গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় ব্যাপক যানজট হয়। প্রতিদিনই প্রায় ওই মহিলা কনস্টেবলের অফিসে পৌঁছতে দেরি হয়ে যেত। তাই আজ চন্দনা মণ্ডল নামে ওই কনস্টেবল কাউন্সিলরকে উপদেশ দেন, ভোরের দিকে কাজ করে নিলে ভালো হয়। তাহলে যানজটের সমস্যা হয় না। চন্দনার অভিযোগ, এই কথা শোনার পরই কাউন্সিলর তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন। তাঁর সাইকেলটি রাস্তায় ফেলে ভেঙে দেন। তাঁকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যান নিজের দোকানে। সেখানে চড় মারেন। এরপর সেখানেই জ্ঞান হারান তিনি। পরে স্থানীয় দুই মহিলা তাঁকে উদ্ধার করে সুস্থ করে তোলেন। পরে থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। থানা থেকে আধিকারিকরা এসে তাঁকে কালনা হাসপাতালে ভরতি করেন।

অন্যদিকে এই বিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে, তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) সৈকত ঘোষ বলেন, "একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।"

Intro:ধান বিক্রির ক্ষেত্রে টোকেন বিলি নিয়ে চলছে দুর্নীতি অভিযোগ কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির
পুলক যশ, পূর্ব বর্ধমান
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন ধান বিক্রি করার পরে চাষিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর পরিবর্তে হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই চেক পেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা এমনই অভিযোগ তুলল কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটি। তাদের অভিযোগ সহায়ক মূল্যে কিষান মান্ডিতে কৃষকেরা ধান বিক্রি করলেও টোকেন পাওয়া নিয়ে দুর্নীতি চলছে। দীর্ঘ লাইন ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়ার জন্য চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন।

Body:ভাতারের বড়বেলুন গ্রামের চাষী তাপুন রেজ,বেলেন্ডা গ্রামের চাষী শেখ সাহিদুল,মুরাতিপুরের চাষী শেখ সাহিদুল্লাহরা অভিযোগে জানিয়েছে, ধান বিক্রি করতে গিয়ে হয় বাজার থেকে তাঁদের ১৩-১৪ টাকা করে বস্তা কিনে মুটেদের দিয়ে ধান বোঝাই করে গাড়ি ভাড়া করে কৃষি মান্ডি বা রাইস মিলে নিয়ে যেতে হচ্ছে । অথবা স্থানীয় ফড়েদের সঙ্গে বস্তা পিছু ৪০-৫০ টাকা চুক্তি করে কৃষি মান্ডি বা রাইস মিলে নিয়ে যেতে হচ্ছে ।
স্থানীয় চাষি সিরাজুল মন্ডল,উত্তম মন্ডল,শেখ আবুল কালাম,দিলীপ মন্ডলরা অভিযোগে জানিয়েছেন, রাইস মিল কর্তৃপক্ষ প্রতি বস্তায় ৯৬০-৯৭০ টাকা করে দাম দিচ্ছে । পাশাপাশি বস্তা পিছু ধান বাদ দেওয়া হচ্ছে । ফলে সব মিলিয়ে তাঁরা সরকারি সহায়ক মুল্য থেকে বস্তা পিছু গড়ে ১৫০-২০০ টাকা কম দাম পাচ্ছেন । তাঁরা বলেন, ‘তাই প্রশাসনের আমাদের দাবি গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করে আমাদের কাছ থেকে ধান কেনা হোক । তাতে একদিকে যেমন কৃষকদের হয়রানি কমবে । অন্যদিকে ধানের সঠিক দামও পাওয়া যাবে ।’
Conclusion:কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্পাদক অনিরুদ্ধ কুন্ডু বলেন, সরকার ধান বিক্রি করার পরে চাষিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর পরিবর্তে হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেখানে চাষিদের ধান বিক্রি করাটাই সমস্যা। একদিকে দীর্ঘ লাইন অন্যদিকে চাষিদের ধান বিক্রি করার সময় দেওয়া হচ্ছে দু থেকে তিনমাস পরে। ফলে সেই ধান বিক্রি করে চেক পেতে সময় লেগে যাচ্ছে দুই থেকে তিন মাস। এছাড়া টোকেন নিয়ে যেভাবে দুর্নীতি চলছে তাতে চাষিরা সমস্যায় পড়ছেন। তাই এদিন ১৫ দফা দাবিতে জেলাশাসকের কাছে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.