বর্ধমান, 3 নভেম্বর: দুয়ারে সরকারকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতিতে জড়াল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC Inner Clash at Duare Sarkar Camp)৷ বিষয়টি নিয়ে একপক্ষ বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করে ।
বৃহস্পতিবার বর্ধমান পৌরসভার 7 নং ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প(Duare Sarkar Camp)চলছিল । সেখানে বাপ্পা ঘোষ নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী উপভোক্তাদের ফর্ম ফিলাপ করতে সাহায্য করছিল । সেই সময় গুডসশেড রোডের গোলাপ সোনকার ও সোমশুভ্র রায় নামে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কর্মী বাপ্পাকে মারধর করে বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় 7 নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিঠু সিংহ । সেখানে কাউন্সিলরের সঙ্গেও তাদের বচসা শুরু হয় । ফলে ওই ক্যাম্পে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । কাউন্সিলর বিষয়টি বিধায়ক খোকন দাসকে জানালে তিনি বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । যদিও গোলাপ সোনকার ও সোমশুভ্র রায় তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ।
আরও পড়ুন : কাউন্সিলরের সন্ধান চাই ! নিখোঁজ পোস্টার ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর
এই বিষয়ে 7 নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর মিঠু সিংহ বলেন,"আমার ওয়ার্ডে 3 ও 23 নভেম্বর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে । টাউন হলে সেই মতো ক্যাম্প করা হয় । সেখানে একজন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য উপভোক্তাকে ফর্ম ফিলাপ করে দিচ্ছিল । সেখান থেকে তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে । আমি সেখানে পৌঁছে দেখি গুডস শেড রোড এলাকার ছেলে গোলাপ সোনকার ও পাপাই নামে আর এক ছেলে দু'জনে মিলে মারধর করে । গোলাপ আগে সিপিএম ও পরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয়, পাপাই আগে সিপিএম করত । আমার দলের পুরনো কর্মীদের তারা টার্গেট করেছে । তারা তৃণমূল দলটাকে শেষ করতে চাইছে । এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয় । 2021 সালের ভোটের আগে তারা বিজেপি করত । কিন্তু ফের তৃণমূল ক্ষমতায় আসায় তারা তৃণমূলে ভিড়ে যায় । কিন্তু তারা দলের অনুশাসন মানে না । আমি কাউন্সিলর অথচ কোনও অনুষ্ঠানে আমাকে সম্মান দিয়ে ডাকা হয় না । তাই আমি সেখানে যাই না । এদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি । বিধায়কের নির্দেশে পুলিশে অভিযোগ করেছি ।"
এদিকে ঘটনায় সোমশুভ্র রায় ওরফে পাপাই রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "আজ বর্ধমান টাউন হলে 7 নং ওয়ার্ডের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প চলছিল । সেখানে একটা নিজেদের মধ্যে বচসা ঠেলাঠেলি হয় । কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি । সেখানে কাউন্সিলর উপস্থিত হয়ে গোলাপ সোনকারকে খারাপ কথা বলায় কথা-কাটাকাটি শুরু হয় । সেই কারণে উত্তেজনা শুরু হয় । এছাড়া ওই এলাকায় কাউন্সিলর কোনওদিন যায় না । তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে । রাস্তাঘাট ড্রেন পরিষ্কার করা হয় না ।
আরও পড়ুন : তৃণমূল কংগ্রেসের অস্থায়ী কার্যালয়ে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য