গলসি, 11 অগস্ট: তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। পূর্ব বর্ধমানের গলসি 2 নম্বর ব্লকের গোহগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন ঘিরে ছিল টানটান উত্তেজনা। পঞ্চায়েতের 16টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে যায় 7টি আসন। নির্দল পায় 5টি আসন। বিজেপির দখলে যায় 3টি আসন ও বাকি 1টি পায় সিপিএম। বোর্ড গঠন নিয়ে ভোটাভুটি শুরু হলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে 8টি ভোট পড়ে। অন্যদিকে বিজেপি, নির্দল ও সিপিএম মিলে পায় 8টি ভোট। দুই পক্ষেই আটটি করে সমান সমান ভোট পড়ায় বোর্ড গঠনে জটিলতা দেখা দেয় ৷
বোর্ড গঠনের বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাদের নিজেদের মধ্যে চলে আলাপ আলোচনা। পরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধান হিসেবে জবা দোলের নাম প্রস্তাব করা হয়। উপপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয় বিজেপির কানন মাঝিকে। সকলেই এই প্রস্তাব মেনে নেয়। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, কানন মাঝি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কানন মাঝি অবশ্য সেকথা মানতে নারাজ। তাঁর মতে, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। অন্যদিকে, নির্দলের সমর্থনে বোর্ড গঠন হল বর্ধমানের গলসি পঞ্চায়েতে। 20টি আসনের মধ্যে গলসি পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে 10টি আসন। সিপিএম জিতেছে 5টি আসনে। বিজেপি ও নির্দল 2টি করে ও কংগ্রেস 1টি আসনে জয়লাভ করে। নির্দলের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস ৷
কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে তারা যেকোনও দলকে ধরে বোর্ড গঠন করছে। সেখানে তারা রাম বা বাম কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না-পেয়ে যারা নির্দল হিসেবে গোঁজ প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদেরও সমর্থন নিচ্ছে তৃণমূল। কোথাও বিজেপি আবার কোথাও নির্দলকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করেছে শাসক দল ৷
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে বিজেপির সমর্থনে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সুফিয়ানের জামাই