ETV Bharat / state

কালনার মঠ ছিল বিপ্লবীদের আখড়া, আসতেন নেতাজিও - Independence Day India

জ্ঞানানন্দ মঠ ৷ কালনা মহকুমা হাসপাতালের অদূরে এই মঠটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উপেন্দ্রনাথ পাল ৷ জ্ঞানানন্দ মঠ বিপ্লবীদের আখড়া ছিল । আসতেন মাস্টারদা সূর্য সেন , বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত সহ অন্য বিপ্লবীরা । এই মঠে আসতেন নেতাজিও ৷

নেতাজির ছবি
author img

By

Published : Aug 15, 2019, 12:13 PM IST

Updated : Aug 15, 2019, 3:16 PM IST

কালনা, 15 অগাস্ট : 1930 সাল । মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে হয়েছিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন । মাস্টারদার সহযোগী হিসেবে যেসব বিপ্লবীরা সেদিন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে অংশ নিয়েছিলেন তার মধ্যে ছিলেন উপেন্দ্রনাথ পালও । পরবর্তীকালে উপেন্দ্রনাথ পাল হয়ে ওঠেন স্বামী নিত্যগৌরবানন্দ অবধূত মহারাজ । কালনা শহরে তিনি গড়ে তোলেন জ্ঞানানন্দ মঠ ।

photo
জ্ঞানানন্দ মঠ

এই সংক্রান্ত আরও খবর : তিন বাহিনীর সমন্বয়ে নতুন পদ চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

কালনা তখন ঘন জঙ্গলে ঢাকা । ওই জঙ্গলেই তিনি জ্ঞানানন্দ মঠ গড়ে তুলেছিলেন । সেই মঠে শুরু হয় বিপ্লবীদের আনাগোনা । রাতে বসত গোপন বৈঠক । জ্ঞানানন্দ মঠ বিপ্লবীদের আখড়ায় পরিণত হয় । আসতেন মাস্টারদা সূর্য সেন, বটুকেশ্বর দত্তসহ অন্য বিপ্লবীরা ।

দেখুন ভিডিয়ো

মাস্টারদা সূর্য সেনের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে পরিচয় হয় উপেন্দ্রনাথের । নেতাজি এই মঠে আসতেন ৷ মঠে রাত্রিবাসও করে গেছেন । তিনি যে চেয়ারে বসতেন, যে খাটে ঘুমোতেন, সেই খাট-চেয়ার আজও যত্নের সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করছেন আশ্রমের মহারাজরা ।

বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠের সন্ন্যাসীগণ বন্দেমাতরম মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশমাতৃকাকে দেবীর আসনে বসিয়েছিলেন । সন্ন্যাসীদের আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ছিল সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ । বর্ধমান জেলায় যেসব সন্ন্যাসীদের নাম স্বাধীনতা সংগ্রামে উঠে আসে তাঁদের মধ্যে গৌরবানন্দ অবধূত মহারাজ অন্যতম । মাত্র কুড়ি বছর বয়সে উপেন্দ্রনাথ পাল উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় যান । যেহেতু তাঁর জন্ম হয়েছিল পূর্ববঙ্গের বরিশাল জেলায় । তাঁর সঙ্গে প্রথম থেকেই যোগাযোগ ছিল মাস্টারদা সূর্য সেনের । মাস্টারদার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদার সহযোগী হিসেবে অংশ নেন ।

photo
আশ্রম


আর্থিক সমস্যার জেরে মঠের পরিকাঠামো এখন ভেঙে পড়েছে ৷ বর্তমানে আশ্রমের মহারাজ নিত্য প্রেমানন্দ অবধূত বলেন, আগামী দিনে ওই মঠে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত মিউজ়িয়াম তৈরি সহ নানা পরিকল্পনা রয়েছে ৷ কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তাঁরা কোনও কাজই করতে পারছেন না ।

photo
স্বামী নিত্যগৌরবানন্দের মূর্তি

ইতিমধ্যেই তাঁরা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছে সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন । সরকারি সাহায্য পেলে আগামী দিনে তাঁরা নিজেদের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন ।


মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ওই আশ্রমে তিনি গিয়েছিলেন । নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত আশ্রমের কী ভাবে উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে তাঁরা ভাবনাচিন্তা করছেন ।

কালনা, 15 অগাস্ট : 1930 সাল । মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে হয়েছিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন । মাস্টারদার সহযোগী হিসেবে যেসব বিপ্লবীরা সেদিন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে অংশ নিয়েছিলেন তার মধ্যে ছিলেন উপেন্দ্রনাথ পালও । পরবর্তীকালে উপেন্দ্রনাথ পাল হয়ে ওঠেন স্বামী নিত্যগৌরবানন্দ অবধূত মহারাজ । কালনা শহরে তিনি গড়ে তোলেন জ্ঞানানন্দ মঠ ।

photo
জ্ঞানানন্দ মঠ

এই সংক্রান্ত আরও খবর : তিন বাহিনীর সমন্বয়ে নতুন পদ চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

কালনা তখন ঘন জঙ্গলে ঢাকা । ওই জঙ্গলেই তিনি জ্ঞানানন্দ মঠ গড়ে তুলেছিলেন । সেই মঠে শুরু হয় বিপ্লবীদের আনাগোনা । রাতে বসত গোপন বৈঠক । জ্ঞানানন্দ মঠ বিপ্লবীদের আখড়ায় পরিণত হয় । আসতেন মাস্টারদা সূর্য সেন, বটুকেশ্বর দত্তসহ অন্য বিপ্লবীরা ।

দেখুন ভিডিয়ো

মাস্টারদা সূর্য সেনের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে পরিচয় হয় উপেন্দ্রনাথের । নেতাজি এই মঠে আসতেন ৷ মঠে রাত্রিবাসও করে গেছেন । তিনি যে চেয়ারে বসতেন, যে খাটে ঘুমোতেন, সেই খাট-চেয়ার আজও যত্নের সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করছেন আশ্রমের মহারাজরা ।

বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠের সন্ন্যাসীগণ বন্দেমাতরম মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশমাতৃকাকে দেবীর আসনে বসিয়েছিলেন । সন্ন্যাসীদের আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ছিল সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ । বর্ধমান জেলায় যেসব সন্ন্যাসীদের নাম স্বাধীনতা সংগ্রামে উঠে আসে তাঁদের মধ্যে গৌরবানন্দ অবধূত মহারাজ অন্যতম । মাত্র কুড়ি বছর বয়সে উপেন্দ্রনাথ পাল উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় যান । যেহেতু তাঁর জন্ম হয়েছিল পূর্ববঙ্গের বরিশাল জেলায় । তাঁর সঙ্গে প্রথম থেকেই যোগাযোগ ছিল মাস্টারদা সূর্য সেনের । মাস্টারদার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদার সহযোগী হিসেবে অংশ নেন ।

photo
আশ্রম


আর্থিক সমস্যার জেরে মঠের পরিকাঠামো এখন ভেঙে পড়েছে ৷ বর্তমানে আশ্রমের মহারাজ নিত্য প্রেমানন্দ অবধূত বলেন, আগামী দিনে ওই মঠে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত মিউজ়িয়াম তৈরি সহ নানা পরিকল্পনা রয়েছে ৷ কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তাঁরা কোনও কাজই করতে পারছেন না ।

photo
স্বামী নিত্যগৌরবানন্দের মূর্তি

ইতিমধ্যেই তাঁরা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছে সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন । সরকারি সাহায্য পেলে আগামী দিনে তাঁরা নিজেদের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন ।


মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ওই আশ্রমে তিনি গিয়েছিলেন । নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত আশ্রমের কী ভাবে উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে তাঁরা ভাবনাচিন্তা করছেন ।

Intro:Attn: Mr. Biswajit chatterjee

Special copy

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদা সহযোগী উপেন্দ্রনাথ পালের তৈরি কালনার মঠ হয়ে ওঠে বিপ্লবীদের আখড়া
পুলক যশ, কালনা


তখন 1930 সাল ।মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে হয়েছিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ।মাস্টারদা সহযোগী হিসেবে যেসব বিপ্লবীরা সেদিন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন গণেশ ঘোষ, লোকনাথ বল ,অম্বিকা চক্রবর্তী, উপেন্দ্রনাথ পাল সহ অন্যান্য বিপ্লবীরা ।পরবর্তীকালে উপেন্দ্রনাথ পালই হয়ে ওঠেন স্বামী নিত্যগৌরবানন্দ অবধূত মহারাজ।কালনা শহরে তিনি গড়ে তুলেছিলেন জ্ঞানানন্দ মঠ। যেহেতু মাস্টারদা সূর্য সেনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সেই সম্পর্কে রেশ ধরেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে।


Body:এদিকে কালনা তখন ঘন জঙ্গলে ঢাকা। সেই জঙ্গলেই তিনি যে জ্ঞানানন্দ মঠ গড়ে তুলেছিলেন। সেই মঠে শুরু হলো বিপ্লবীদের আনাগোনা। রাতে বসতো গোপন বৈঠক। জ্ঞানানন্দ মঠ বিপ্লবীদের আখড়ায় পরিণত হলো। সেখানে আসতেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মাস্টারদা সূর্যসেন , বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত সহ অন্যান্য বিপ্লবীরা। সুভাষচন্দ্র বসু এই জ্ঞানানন্দ মঠে রাত্রি বাসও করে গেছেন ।তিনি যে চেয়ারে বসছেন ,যে খাটে শুতেন সেই খাট সেই চেয়ার আজও যত্নের সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করছেন আশ্রমের মহারাজরা।

আসলে বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ এর সন্ন্যাসীগণ বন্দেমাতরম মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশমাতৃকাকে দেবীর আসনে বসিয়েছিলেন । সন্যাসীদের আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ছিল সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ। বর্ধমান জেলায় যেসব সন্ন্যাসীদের নাম স্বাধীনতা সংগ্রামে উঠে আসে তাদের মধ্যে গৌরবানন্দ অবধূত মহারাজ অন্যতম। মাত্র কুড়ি বছর বয়সে উপেন্দ্রনাথ পাল উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন ।সেখানে তিনি ছিলেন তখন একাউন্টান্সির ছাত্র ।যেহেতু তার জন্ম হয়েছিল পূর্ববঙ্গের বরিশাল জেলায় ।তার সঙ্গে প্রথম থেকেই যোগাযোগ ছিল মাস্টারদা সূর্য সেনের। মাস্টারদার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদার সহযোগী হিসেবে অংশ নেন ।সেই সূত্র ধরেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি যখন জ্ঞানানন্দ মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই মঠ তখন বিপ্লবীদের আখড়া হয়ে উঠেছিল ।সেখানে এসে তাদের পরামর্শ দিয়ে যেতেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ।


Conclusion:বর্তমানে আশ্রমের মহারাজ নিত্য প্রেমানন্দ অবধূত বলেন 1930 সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদার সহযোগী ছিলেন উপেন্দ্রনাথ পাল যিনি পরবর্তীকালে গৌরবানন্দ অবধূত মহারাজ হিসেবে পরিচিত হন ।এই আশ্রমে বহু বিপ্লবীদের যাতায়াত ছিল। সুভাষ চন্দ্র বসু এখানে রাত্রি বাস করে গেছেন। সুভাষচন্দ্র বসুর ব্যবহৃত চেয়ার খাট এখনো যত্নের সঙ্গে রাখা আছে। তবে তাদের আক্ষেপ দিনে দিনে মঠের পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে।আগামী দিনে ওই মঠে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত মিউজিয়াম, পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেখানো সহ অন্যান্য শিক্ষামূলক পরিকল্পনা তাদের আছে কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তারা কোনো কাজই করতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই তারা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর কাছে সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন। সরকারি সাহায্য পেলে আগামী দিনে তারা তাদের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন।
রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন ওই আশ্রমে আমি গিয়েছিলাম । নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত আশ্রমের কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে তারা ভাবনা চিন্তা করছেন।

বাইট 1 নিত্য প্রেমানন্দ অবধুত, বর্তমান মহারাজ
বাইট 2 দিলীপ সরকার, স্থানীয় বাসিন্দা
বাইট 3 স্বপন দেবনাথ, মন্ত্রী
পিটুসি
Last Updated : Aug 15, 2019, 3:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.