বর্ধমান, 2 জুলাই: সারা দেশে যখন সব জায়গাতেই একটা করে রথ টানা হয় তখন বর্ধমান রাজবাড়ির ছবিটা থেকে যায় কিছুটা হলেও ভিন্ন (Bardhaman Rath Yatra)। এখানে একদিকে যেমন দুটি রথের দড়িতে টান দেওয়া হয় । তেমনি রথের মধ্যে থাকেন না জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা । আর নেই তাঁদের মামার বাড়িও ।
বর্ধমান শহরের কার্জনগেট হয়ে ধরে পশ্চিম দিকে প্রায় তিন কিলোমিটার গেলেই মিলবে বড়বাজার সোনাপট্টি । সেখানেই আছে লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দির । বর্ধমান রাজবাড়ির দু'টি রথ এই মন্দিরেই টানা হয়। প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে রাজবাড়ির ঐতিহ্য আজও গেলে চোখে পড়ে । মন্দিরের বিভিন্ন অংশ দিনে দিনে ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে । এরইমধ্যে চোখে পড়বে দু'টি রথ । একটি বাইরে আছে যেটি পিতলের তৈরি আর অপরটি কাঠের তৈরি । পিতলের যে রথ সেটি রাজার রথ নামেই পরিচিত ।
অন্যদিকে কাঠের রথটি রানির রথ ছিল । তবে দু'টি রথেই দেখতে পাওয়া যায় না জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রাকে । পরিবর্তে একটি রথে থাকেন লক্ষ্মী নারায়ণ শিলা ও অপর রথে থাকেন রাজবাড়ির কুলদেবতা গোপাল । রাজার পিতলের রথটি বাইরে টানা হয় অন্যদিকে রানির কাঠের রথটি মন্দিরের ভিতরেই টানা হয় । তবে যেহেতু জগন্নাথ দেব নেই, তাই নেই কোনও মামার বাড়িও । ফলে সারাদিন এক জায়গাতেই রথকে রাখা হয় । সেই রথের দড়িতে টান দেওয়ার জন্য বাইরের মানুষজন ভিড় জমান । মন্দির প্রাঙ্গনে মেলাও বসে ।
আরও বলুন : পথশিশু এবং ভবঘুরেদের নিয়ে অভিনব রথযাত্রার আয়োজন বারাসতে
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যেহেতু দিনে দিনে রাজবাড়ির বিভিন্ন অংশ ভগ্নদশায় পরিণত হচ্ছে তাই রাজবাড়ির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের পক্ষ থেকেই হোক কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে ৷ যদি সেই মন্দির সংস্কার করা যায় তাহলে রাজবাড়ির ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে না ।