বর্ধমান, 21 জানুয়ারি: কার্টুন আমাদের সংস্কৃতি জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ৷ কোনও স্বৈরাচারি শাসক কার্টুন বন্ধ করতে পারবে না ৷ তাই পুনরায় তিনি কার্টুন শেয়ার করবেন ৷ শনিবার বর্ধমানে এসে জানালেন অম্বিকেশ মহাপাত্র (Professor Ambikesh Mahapatra says he will share cartoon again) ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা এই সরকারের বার্তা ভীষণ স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ অম্বিকেশ মহাপাত্রের কথায়, সরকারের স্পষ্ট বার্তা তাদের কাজ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা যাবে না, সরকারের সমালোচনা করা যাবে না ৷ কিন্তু তা গণতন্ত্র বিরোধী ৷ তাই নিজে দীর্ঘ 11 বছর পর ফৌজদারি মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেও রাজ্যবাসীর কাজ এখনও শেষ হয়নি বলেই জানালেন অম্বিকেশ মহাপাত্র ।
তিনি জানালেন, সাধারণ মানুষকে সাধারণ মানুষের লড়াইটা লড়তে হবে ৷ বর্ধমানে এদিন অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন, "আমার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে একটা গভীর ষড়যন্ত্র করেছিল। আমার কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য একটা ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিল এবং নানান কৌশলে বিভিন্ন বেআইনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই মামলাকে দীর্ঘায়িত করেছে যাতে কোনোভাবেই সেই মামলার সুরাহা না-হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে গিয়ে এই মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।"
শুক্রবার এগারো বছর পর ব্যঙ্গচিত্র মামলা থেকে তিনি মুক্ত হলেও দুশ্চিন্তা মুক্ত নন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (Ambikesh Mahapatra gets clean chit in cartoon case yesterday) ৷ তাঁর কথায়, ব্যক্তিগতভাবে আমি ফৌজদারি মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেও রাজ্যবাসী যে পরিস্থিতির মধ্যে আছে সেখান থেকে নিষ্কৃতি হচ্ছে না । কারণ সরকার বুঝিয়ে দিয়েছিল ওভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে কোন প্রশ্ন করা যাবে না। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ংকর।" অম্বিকেশ মহাপাত্রের ব্যাখ্যা, "রাজ্য সরকার তার শাসক দল ও পুলিশকে ব্যবহার করে রাজ্যব্যাপী একটা পরিবেশ কায়েম করেছে। এর ফলে শিলাদিত্য চৌধুরী, তানিয়া ভরদ্বাজের মতো ঘটনা ঘটে। সুদীপ্ত গুপ্ত, তপন দত্ত, বরুণ বিশ্বাসের খুনের ঘটনা ঘটে। কেতুগ্রামে আসমিরা বেগম খুন হয়।"
আরও পড়ুন: কার্টুনকাণ্ডে 11 বছর পর মুক্তি, ফের গণতন্ত্র বিরোধী কাজের অভিযোগ অম্বিকেশের
তাই নিজে মামলা থেকে মুক্তি পেলেও রাজ্যবাসীকে লড়াই জারি রাখতে বলেছেন অম্বিকেশ। একইসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক বলেন, "আমি আগামিদিনে ফের কার্টুন শেয়ার করব ৷ এ নিয়ে কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আমার মধ্যে নেই ৷"