মেমারি, 7 ডিসেম্বর: "মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ৷ এমনকী তিনি সেই প্রভাব খাটিয়ে একাধিক জায়গায় বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট-সহ অগাধ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।" মেমারি কলেজ ক্যাম্পাসে এরকম লেখা একাধিক পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, "কলেজের কয়েকজন মিলে একটা অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে।" তবে পোস্টারে কারও নাম না-থাকায় নির্দিষ্ট অভিযোগ করা যাচ্ছে না।
বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারি কলেজের ক্যাম্পাসে দেখা যায়, সাদা কাগজে লাল ও নীল স্কেচ পেনের কালি দিয়ে লেখা চারিদিকে পোস্টার সাঁটা ৷ তাতে কলেজের প্রিন্সিপালের নামে একাধিক বিষয়ে লেখা রয়েছে ৷ অভিযোগ উঠেছে, বিপক্ষ গোষ্ঠীই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রিন্সিপাল নির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তোলেননি। এদিন কলেজ ক্যাম্পাসের কোনও পোস্টারে লেখা, "পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতার কারণে তার প্রভাব খাটিয়ে দেবাশিস চক্রবর্তী অগাধ সম্পত্তির মালিকানা করেছে।" কোনওটাতে লেখা, "কলকাতায় একাধিক ফ্ল্যাট, বর্ধমানে তিনটে বিলাসবহুল বাড়ি, বিবেকানন্দ মোড়ে মেয়ে জামাইয়ের নামে একাধিক ফ্ল্যাট, অগাধ লরি, বাস ও জমির মালিক। এর সিবিআই তদন্ত চাই।"
আবার অন্য এক পোস্টারে লেখা আছে, "মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ থাকার জন্য রামপুরহাট কলেজের প্রফেসার থেকে মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল হয়েছেন।" কোথাও আবার লেখা, "মেমারি উৎসবের জন্য মেমারি পৌরসভার কাছে মাঠ দেওয়ার জন্য দেড় লক্ষ টাকা জুলুমবাজি (ঘুষ) দাবি করেছে মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল।" এছাড়া লেখা আছে, "নেতাজি মুক্ত বিদ্যালয়ের 50 হাজার টাকা মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশিস চক্রবর্তী আত্মসাৎ করেছেন। তার কোনও হিসেব নেই। অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত চাই।"
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, 'আমি তো নিজে দেখিনি। ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে জানলাম। খুব খারাপ লাগছে। ওরা আগে কলেজে সন্ত্রাস চালিয়েছে, নোংরামি করছে। কলেজের ভালো পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা অন্যান্য কলেজের থেকে মেমারি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা রেজাল্টে অনেক এগিয়ে। আসলে মেমারি কলেজে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করতে আসে। আমি তো দু'বছর পরে অবসর নেব, তাই আমার অনুরোধ সকলের কাছে মেমারি কলেজের পরিবেশ যাতে নষ্ট না-হয় সেটা সকলে দেখবেন। যারা পোস্টার সাঁটিয়েছে তারা তো কেউ নাম লেখেনি। তাই কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করব।"
আরও পড়ুন: