বর্ধমান, 11 অগস্ট : বাতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন এক গৃহবধূ। তাঁর বাড়ি নদিয়ার চাকদায়। সেই ব্যথা সহ্য করতে না পেরে চিঠি লিখে রেখে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন । তারপর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি।
এদিকে ওই গৃহবধূর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নেন তাঁর স্বামী । অবশেষে বর্ধমানের বাদামতলা এলাকায় একটা পুরনো ভাঙা বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে নদিয়া ও বর্ধমান থানার পুলিশ।
ওই মহিলাকে বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল বলে তাঁর স্বামী জানতে পেরেছেন । গৃহবধূর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল ভোর নাগাদ ওই গৃহবধূকে বর্ধমানের বাদামতলা এলাকায় একটা পুরনো ভাঙা বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়ির মালিক টালিগঞ্জের এক অভিনেতার। যদিও বাড়িতে কেউ ছিলেন না।
আরও পড়ুন : Rape : ঝাড়ফুঁকের নামে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ওঝা
ওই গৃহবধূ বাতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। মাস ছয়েক আগে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে একটা চিঠি লিখে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তারপর থেকে তাঁর আর কোন খোঁজ মেলেনি । এদিকে রাস্তা থেকে ওই গৃহবধূকে দু'জন ধরে নিয়ে বর্ধমানের একটি ভাঙা বাড়িতে রাখেন। বাড়িতে যারা থাকত তারা কোমরে বন্দুক নিয়ে চলাফেরা করত। এমনকি তারা ওই গৃহবধূকে বিক্রি করে দেওয়া কিংবা তার কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল।
একথা জানতে পারার পরে ওই বাড়িতে যে মহিলা রান্নার কাজ করতেন তার মোবাইল ফোন থেকে ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর নদীয়া ও বর্ধমান থানার পুলিশ তাঁকে গিয়ে উদ্ধার করে। তবে বাড়িতে সে সময় অন্য কেউ ছিল না। মহিলার স্বামী বলেন, "আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ ছিলেন। পায়ে খুব বাতের যন্ত্রণা হত। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে একটা চিঠি লিখে রেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন জানতে পারছি রাস্তা থেকে দুটো লোক তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। স্ত্রী তাদের চেনে না ও বলতেও পারছে না তারা কারা। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও এতদিন তার কোনও খোঁজ-খবর আমরা পাইনি।"
আরও পড়ুন :ভাতার থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী
তিনি আরও বলেন, "ভাঙা বাড়িতে যে রান্না করত সেই মহিলা সাহায্য করেন । বাড়িতে কেউ না থাকায় সুযোগ পেয়ে ওই মহিলার ফোন থেকে আমায় ফোন করে জানায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে নিয়ে যেতে । তাকে বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে কিংবা কিডনি নিয়ে নেবে। এমনই কথাবার্তা সে শুনতে পেয়েছে। যারা সেই বাড়িতে থাকে তাদের কোমরে বন্দুক থাকে। সেই বাড়ির মালিকের নাম ফাল্গুনী বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি অভিনয় করেন কলকাতায়, বাড়ি ফাঁকা থাকে। কেউ সেখানে থাকে না।" ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।