মন্তেশ্বর, 20 মার্চ: সাংসদ তহবিল থেকে 7 লক্ষ 20 হাজার টাকা টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে শ্মশান সংস্কার ও শবযাত্রীদের প্রতীক্ষালয় নির্মাণের জন্য । অথচ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত সেই টাকা ব্যবহার করেনি (Controversy on Cremation Reform in Bardhaman)। ফলে শ্মশান নির্মাণ হয়নি এই অভিযোগ তুললেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওহলিয়া । পাশাপাশি অস্থায়ী শ্মশানগুলোতেও যাওয়ার কোনও রাস্তা নেই বলে দাবি সাংসদের । যদিও সাংসদের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন করেন মন্তেশ্বর ব্লকের লোহার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল ইসলাম ।
এদিন বর্ধমানে এসে সাংসদ এস এস আলুওহলিয়া বলেন, "লোহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি শ্মশান সংস্কারের জন্য আবেদন করা হয়েছিল । শ্মশানের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে 7 লক্ষ 20 হাজার টাকা দিয়েছি । বিডিও অফিসে জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল । সেই জায়গা পরিদর্শন করতে এসে, জানতে পারি সেই জমির কাগজপত্র পঞ্চায়েতের তরফে জমা দেওয়া হয়নি । এটা একটা বড় গ্রাম অথচ শ্মশান নেই । কোনও গাফিলতির কারণেই এখানে শ্মশান নেই । এখানে রাস্তার কাজও হয়নি । অথচ কেন্দ্র গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নের জন্য অনেক টাকা দিয়েছে । ওরা যদি লিখে দেয় তাহলে হয়ে যাবে । আর যদি লিখেও টাকা না-পায় তাহলে কি কারণে টাকা পায়নি আমাকে প্রতিলিপি দিক ৷ আমি টাকা আদায় করে দেবো ।"
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অমর্ত্য সেনের নামে সম্পূর্ণ জমি রেকর্ড করে দিল রাজ্য সরকার
সাংসদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই মন্তেশ্বর ব্লকের লোহার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল ইসলাম বলেন, "লোহার গ্রামে শ্মশানের জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি । উনি নিজেই জানেন না কোনও এলাকায় এসেছেন । 2019 সালে নির্বাচনের পরে তিনি শীতঘুমে গিয়েছিলেন । আজ হঠাৎ জেগে উঠে তিনি এলাকাই ভুলে গিয়েছেন । এখানে শ্মশানের মধ্যে একটা ওয়েটিং শেড তৈরির জন্য ব্লক থেকে কাগজপত্র চেয়েছিল ৷ সেখানে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে । সেটা সামান্য টাকা । এই এলাকায় শ্মশানের জন্য 7 লক্ষ 20 হাজার টাকা দেওয়া হয়নি ৷ আর উনি হয়তো জানেন না, তিনি কোথায় টাকা দিয়েছেন । শ্মশানের যে রাস্তা হয়নি বলে দাবি করছেন সাংসদ, সেখানে শ্মশানই তো নেই ৷ তাহলে রাস্তা নিয়ে কী হবে ৷ তবে মাঠের ধারে একটা রাস্তার কাজ চলছে সেটা হয়ে যাবে ।"