বর্ধমান, 2 জুন: ট্রেনেই সন্তানের জন্ম দিলেন মা ৷ বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান স্টেশনে ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মা ও সদ্যোজাত দু'জনেই এখন সুস্থ ৷ রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা টেরেসা হাঁসদা স্বামী রুবিন মান্ডির সঙ্গে কেরল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ তাঁরা তিরুবনন্তপুর-শিলচর এক্সপ্রেসে ছিলেন । সে সময় তিনি সন্তানের জন্ম দেন।
ট্রেনের মধ্যেই হঠাৎ তাঁর প্রসব বেদনা ওঠে ৷ সঙ্গে সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাটির কথা জানান স্বামী ৷ ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনে ঢুকতেই রেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয় ৷ চিকিৎসক ও নার্সরা ওই ট্রেনের এস-12 কামরায় মহিলার কাছে পৌঁছে যান ৷ কামরাতেই জন্ম হয় সদ্যোজাতর ৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, রুবিন মান্ডি ও তাঁর স্ত্রী কেরলে রাজমিস্ত্রীর জোগাড়ের কাজ করতে গিয়েছিলেন ৷ রুবিন মান্ডির স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হলে তাঁরা হাতে সময় থাকতে থাকতে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ৷ তবে সময়মতো ট্রেনের টিকিট পাননি রুবিন ৷ এদিকে স্ত্রীর প্রসবের দিনও এগিয়ে আসে ৷ শেষমেশ টিকিট পেলেও সমস্যার মুখোমুখি হতে হল দম্পতিকে ৷
বৃহস্পতিবার ট্রেনে করে ফেরার পথে বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার আগেই তাঁর স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে ৷ তিনি ট্রেনের অন্য যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ রেলের তরফে তাঁর কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে আশ্বস্ত করা হয় ৷ এরপর বর্ধমান স্টেশনের 2 নং প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামতেই ছুটে যান চিকিৎসকরা ৷ সেখানেই শিশুটির জন্ম হয়। রেলের এই সময়মতো মানবিক ভূমিকায় খুশি শিশুর পরিবার ৷
এর আগেও ট্রেনের কামরায় শিশু জন্মের ঘটনার নজির রয়েছে ৷ গত বছর অক্টোবরে ইটভাটায় কাজ করা এক দম্পতিও একই রকম দুর্ভোগে পড়েছিলেন ৷ তাঁরা বিহার থেকে খড়্গপুরে আসছিলেন ৷ ট্রেনেই প্রসব বেদনা ওঠে ওই মহিলার ৷ তবে সেবার রেল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ ৷ ট্রেনে থাকা শ্রমিকরা নিজেরাই উদ্য়োগ নিয়ে সন্তান প্রসব করান ৷
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব মহিলার, 'মানবিক' রেল পুলিশের সহায়তায় ঘরে ফিরল সুস্থ মা-শিশু