কলকাতা, 4 জানুয়ারি: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতির মামলায় সৌমেন্দু অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার গ্রেফতারির ঘটনায় এবার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (CBI) ৷ বুধবার এমনই নির্দেশ দিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ৷ তাঁর (রামচন্দ্র পাণ্ডা) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেটা কে করেছে বা কীভাবে হয়েছে সেই তদন্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা করবে বলে নির্দেশ হাইকোর্টের (HC directs CBI probe in Contai tender scam) ৷
স্ত্রী কাকলি পাণ্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্র পাণ্ডার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও বুধবার এই মামলার মূল অভিযোগকারিনী কাকলি পাণ্ডা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেন ৷ হলফনামায় সেই বয়ান বদলে রামচন্দ্র পাণ্ডার স্ত্রী লেখেন, কেউ অভিযোগ লিখে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তাতে সই করতে বাধ্য করেছে । ওই অভিযোগপত্রে যা ছিল, সেটা আদতে তাঁর অভিযোগ ছিল না ৷ এরপরেই টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রামচন্দ্র পাণ্ডাকে নিঃশর্তে জামিন দেয় বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ।
একইসঙ্গে এদিন থেকে রামচন্দ্র ও কাকলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা 24 ঘণ্টা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। উল্লেখ্য, একই অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্র পাণ্ডার বিরুদ্ধে তিন-তিনটি অভিযোগ দায়ের হয় ৷ স্ত্রী'র অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীর গ্রেফতারির পাশাপাশি একই অভিযোগে তিনিটি এফআইআর নিয়ে এদিন বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা ৷
আরও পড়ুন: দূতেরা যাওয়ার আগেই অভিযোগ শুনতে দুয়ারে হাজির স্বয়ং দিদি
কাঁথি শহরের রাঙামাটি শ্মশান স্টল দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিবার-ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্রকে পুলিশ গ্রেফতার করে গত নভেম্বর মাসে । রামচন্দ্র পাণ্ডা ঠিকাদার ছিলেন। অভিযোগ, 2019 এবং 2020 কাঁথি পৌরসভার অন্তর্গত একটি টেন্ডার পান রামচন্দ্র। কিন্তু টেন্ডার পেয়েও তিনি কাজ শেষ করেননি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে দু'টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এরপর, গত ডিসেম্বর আরও একটি এফআইআর দায়ের হয়। তাতে দেখা যায়, রামচন্দ্রের স্ত্রী কাকলি পাণ্ডা অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে রামচন্দ্রকে। এই শ্মশান স্টল দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল কাঁথি থানার তদন্তকারীরা। পরবর্তীতে রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ।