বর্ধমান, 6 জুলাই : পুজোর আগেই উদ্বোধন হতে পারে বর্ধমান রেলস্টেশনের রেল লাইনের উপর দিয়ে যাওয়া দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু । আজ সেই সেতুর কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে যান পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক বিজয় ভারতী, জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা ।
আজ তাঁরা সেতুর দু'পাশে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ খতিয়ে দেখেন । জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পুজোর আগেই এই সেতুর উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা আছে । অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে গড়ে তোলা হচ্ছে এই সেতু । বসানো হচ্ছে স্পিড ক্যামেরা । ফলে নির্দিষ্ট গতির বাইরে ব্রিজের উপর দিয়ে যদি কোনও গাড়ি চলাচল করে তাহলে সেই গাড়ির গতি ধরা পড়বে । যদি কেউ নির্দিষ্ট গতির বাইরে গতি বাড়িয়ে নিয়ম ভাঙে তাহলে করা হবে জরিমানা । এছাড়া নিরাপত্তার জন্য সেতুসংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে CCTV । থাকবে মহিলা পুলিশের ক্যাম্পও ।
প্রায় 110 কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হতে চলেছে এই ঝুলন্ত সেতু । যার দৈর্ঘ্য 188.43 মিটার । ইতিমধ্যেই রেল লাইনের উপরে এই ঝুলন্ত সেতুর কাজ প্রায় শেষের মুখে । রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় রেলের ইতিহাসে রেললাইনের উপরে তৈরি হওয়া এটি দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু ।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, "অনেকদিন ধরেই চাহিদা ছিল একটি ওভার ব্রিজের । বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন । তাদের কিভাবে সুবিধা দেয়া যায় সে কথা মাথায় রাখা হয়েছে । এছাড়া এই সেতু সংলগ্ন এলাকায় মানুষের কিভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি করা যায় সেই চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে । গাড়ি পার্কিং, টোটো পার্কিং, সাইকেল ও মোটর সাইকেল পার্কিং দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বর্ধমান পুরসভাকে । "
অন্যদিকে, ওই সেতু সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, " ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই এলাকায় একটি ট্রাফিক ইউনিট গড়ে তোলা হবে । এলাকা জুড়ে CCTV লাগানো হবে । CCTV মনিটরিং করার সিস্টেম ট্রাফিক গার্ডের অফিসে থাকবে । এছাড়া পার্কিং-এর ব্যবস্থাও করা হবে । এখানে মহিলা পুলিশের ক্যাম্পও তৈরি করা হবে । পাশাপাশি দিনে রাতে টহলদারি মোবাইল ভ্যানের একটা ছোট ইউনিটও থাকবে । সেতুর উপর বসানো হবে স্পিড ক্যামেরা । ফলে কত স্পিডে একটা গাড়ি যাচ্ছে সেটা বোঝা যাবে । সেই অনুযায়ী, যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার পড়ে তাও নেওয়া হবে । এছাড়াও এই সেতুর ফলে যানজটের থেকে মুক্তি পাবে শহর । ''