ETV Bharat / state

পুলিশ আধিকারিকের পরিচয়ে কুড়ি হাজারের প্রতারণা - orgram police phari

পুলিশ আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে তৃণমূল নেতার কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল সাহেবগঞ্জ দুই নম্বর অঞ্চলে ৷ ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাহেবগঞ্জ দুই নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ হোসেন ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ হোসেন
তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ হোসেন
author img

By

Published : May 28, 2021, 9:59 AM IST

ভাতার, 28 মে : পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার সাহেবগঞ্জ দুই নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ হোসেন ৷ সবে তখন ঘুম থেকে উঠে ধূমায়িত চায়ে চুমুক দিয়েছেন তিনি ৷ পাশে রাখা মোবাইলে তখন ভেসে ওঠে একটি অচেনা নম্বর ৷ ধরবেন না ধরবেন না করেও ধরেই ফেললেন ৷ ফোনের ওপার থেকে জনৈক পরিচয় দিলেন ভাতার থানার মেজবাবু হিসাবে ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে কুড়ি হাজার টাকা পাঠানোর আর্জি জানান তিনি ৷ সেইমতো অনলাইন পে-অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েও দেন শাসকদলের নেতা ৷ পরে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন ৷ তখনই তিনি প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বারস্থ হন 'আসল' পুলিশ আধিকারিকের কাছে ৷

অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে মহম্মদ হোসেনকে প্রতারক প্রথমে ফোন করে থানার মেজবাবুর পরিচয় দিয়ে চান দশ হাজার টাকা ৷ সেইমতো টাকা পাঠিয়েও দেন তিনি ৷ কিছুক্ষণ পর ফের প্রতারক মেজবাবুর ছেলে সেজে ফোন করেন ৷ আরও দশ হাজার টাকা চান ৷ দুটি ক্ষেত্রে ইমহম্মদ হোসেন নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কুড়ি হাজার টাকা পাঠিয়েও দেন ৷ তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন ৷ কিন্তু কোনওরকম উত্তর না পেয়ে সন্দেহ হয় তাঁর ৷ নম্বর চেক করতে গিয়ে তিনি ঠারে ঠারে বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন ৷

মহম্মদ হোসেন বলেন, " প্রায় দু'ঘন্টা পরেও কেউ টাকা দিতে আসছে না দেখে আমি ওড়গ্রাম পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে পরিচিত পুলিশ কর্মীকে বিষয়টি বলি। বুঝতে পারি আমি প্রতারিত হয়েছি। ওই মোবাইল নম্বর আদেও মেজবাবুর নয় ৷ সরল বিশ্বাসে টাকা দেওয়ার মাশুল দিতে হল আমায় ৷ " পাশাপাশি তিনি বলেন, "নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে কথা হওয়া শুরু হয় ৷ পরে জনৈক সংশ্লিষ্ট বিষয়টি বুঝে নেওয়ার কথা বলেন ৷ আমিও তাঁকে আশ্বাস দিই ৷ তারপরই আমার কাছে টাকা চাওয়ার ফোন আসে ৷ "

আরও পড়ুন : রোজগার নেই, তবু হাসি মুখে করোনা সচেতনতার প্রচার শুভঙ্করের

ঠিক এখানেই প্রশ্ন উঠছে , কী এমন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল যে কোনওরকম যাচাই না করেই তৃণমূল নেতা অতগুলো টাকা পাঠিয়ে দিলেন ? যদিও এ বিষয়ে কোনও কথা বলেননি সরল বিশ্বাসে প্রতারিত হওয়া তৃণমূল সভাপতি ৷

ভাতার, 28 মে : পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার সাহেবগঞ্জ দুই নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ হোসেন ৷ সবে তখন ঘুম থেকে উঠে ধূমায়িত চায়ে চুমুক দিয়েছেন তিনি ৷ পাশে রাখা মোবাইলে তখন ভেসে ওঠে একটি অচেনা নম্বর ৷ ধরবেন না ধরবেন না করেও ধরেই ফেললেন ৷ ফোনের ওপার থেকে জনৈক পরিচয় দিলেন ভাতার থানার মেজবাবু হিসাবে ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে কুড়ি হাজার টাকা পাঠানোর আর্জি জানান তিনি ৷ সেইমতো অনলাইন পে-অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েও দেন শাসকদলের নেতা ৷ পরে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন ৷ তখনই তিনি প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বারস্থ হন 'আসল' পুলিশ আধিকারিকের কাছে ৷

অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে মহম্মদ হোসেনকে প্রতারক প্রথমে ফোন করে থানার মেজবাবুর পরিচয় দিয়ে চান দশ হাজার টাকা ৷ সেইমতো টাকা পাঠিয়েও দেন তিনি ৷ কিছুক্ষণ পর ফের প্রতারক মেজবাবুর ছেলে সেজে ফোন করেন ৷ আরও দশ হাজার টাকা চান ৷ দুটি ক্ষেত্রে ইমহম্মদ হোসেন নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কুড়ি হাজার টাকা পাঠিয়েও দেন ৷ তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন ৷ কিন্তু কোনওরকম উত্তর না পেয়ে সন্দেহ হয় তাঁর ৷ নম্বর চেক করতে গিয়ে তিনি ঠারে ঠারে বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন ৷

মহম্মদ হোসেন বলেন, " প্রায় দু'ঘন্টা পরেও কেউ টাকা দিতে আসছে না দেখে আমি ওড়গ্রাম পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে পরিচিত পুলিশ কর্মীকে বিষয়টি বলি। বুঝতে পারি আমি প্রতারিত হয়েছি। ওই মোবাইল নম্বর আদেও মেজবাবুর নয় ৷ সরল বিশ্বাসে টাকা দেওয়ার মাশুল দিতে হল আমায় ৷ " পাশাপাশি তিনি বলেন, "নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে কথা হওয়া শুরু হয় ৷ পরে জনৈক সংশ্লিষ্ট বিষয়টি বুঝে নেওয়ার কথা বলেন ৷ আমিও তাঁকে আশ্বাস দিই ৷ তারপরই আমার কাছে টাকা চাওয়ার ফোন আসে ৷ "

আরও পড়ুন : রোজগার নেই, তবু হাসি মুখে করোনা সচেতনতার প্রচার শুভঙ্করের

ঠিক এখানেই প্রশ্ন উঠছে , কী এমন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল যে কোনওরকম যাচাই না করেই তৃণমূল নেতা অতগুলো টাকা পাঠিয়ে দিলেন ? যদিও এ বিষয়ে কোনও কথা বলেননি সরল বিশ্বাসে প্রতারিত হওয়া তৃণমূল সভাপতি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.