বর্ধমান, 27 এপ্রিল: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্বস্তির বৃষ্টি হলেও পূর্ব বর্ধমানের ভাতার, খণ্ডঘোষ, কালনা ও মঙ্গলকোট ব্লকে বাজ পড়ে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে দুই কৃষকের ৷
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। এরপরেই শুরু হয় দমকা হাওয়া। বেশ কিছু জায়গায় প্রচণ্ড বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়ার ঘটনাও ঘটে। বর্ধমান শহর ছাড়াও মেমারি, খণ্ডঘোষ, রায়না, ভাতার-সহ বেশ কিছু এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যেই ভাতার ও খণ্ডঘোষ এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই কৃষকের । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর নাগাদ ভাতারের বেলেন্ডা গ্রামে বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ড বাজ পড়ার ঘটনা ঘটতে থাকে। সেই সময় কৃষকেরা মাঠে কাজ করছিলেন। চাষি মনসুর আলি শেখ তাঁর বাবা শেখ আজগরের সঙ্গে মাঠ থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ সেই সময় বজ্রাঘাতে ঝলসে যান মনসুর ৷
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে বজ্রাঘাতে মৃত দুই ভাই-সহ 3, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও 6
অন্যদিকে খণ্ডঘোষের তোড়কোনা এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক কৃষকের ৷ আহত হয়েছেন আরও একজন। মৃতের নাম বাসুদেব রায় (52)। তিনিও মাঠে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত ছিলেন ৷ এছাড়াও, কালনা মহকুমা এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে খোকন শেখ (40) এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, তিনি কালনা 1 ব্লকের কালিনগর পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। অন্যদিকে, মঙ্গলকোটেও আপাল লোহার (41) নামে এক ব্যক্তির বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে ।
উল্লেখ্য, মৃত মনসুরের বাবা শেখ আজগর বলেন, "মাঠ থেকে ধান চাপিয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। তখন আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিল। দূর থেকে মেঘ ডাকার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। আমি আর আমার ছেলে দুজনে গল্প করতে করতে মাঠ থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। আমি সামনে ছিলাম পিছনে ছেলে ছিল। হঠাৎ প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হয়। আমার মাথার উপর দিয়ে আগুনের মতো কিছু চলে যায়। মাথা ঝিনঝিন করে ওঠে। পিছনে ফিরে দেখি ছেলে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছে। পরিবারকে খবর দিলে সবাই মিলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে ।"