বর্ধমান, 4 ডিসেম্বর : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের (Cyclone Jawad Alert) পূর্বাভাস পাওয়ার পরই সতর্ক পূর্ব বর্ধমানের কৃষকরা ৷ আবহবিদের হিসাব বলছিল, অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূল দিয়ে জাওয়াদ স্থলভাগে প্রবেশ করলেও তার প্রভাবে বৃষ্টি হবে পশ্চিমবঙ্গেও ৷ ছিল ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাসও ৷ তাই আগেভাগেই ক্ষেতের ফসল ঘরে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন কৃষকরা ৷ যাতে ঝড়, বৃষ্টিতে শস্য নষ্ট না হয়ে যায় ৷ আর সেই কাজ করতে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কৃষকরা ৷
আরও পড়ুন : Express Trains Cancelled : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে বাতিল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন
জেলার কৃষকদের বক্তব্য, মহাজনের কাছ থেকে মোটা সুদে ধার নিয়ে চাষ করেন তাঁরা ৷ যন্ত্রের সাহায্যে ফসল কাটবেন, এত অর্থ তাঁদের নেই ৷ তাই ফসল কাটাতে হবে ক্ষেতমজুরদের দিয়েই ৷ কিন্তু ইদানীংকালে ক্ষেতমজুরদের পারিশ্রমিক বেড়েছে ৷ তাছাড়া, যন্ত্র দিয়ে যত দ্রুত ফসল কাটা হয়, মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয় ৷ এদিকে, জেলা প্রশাসনের তরফে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে, ঝড়, বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই কৃষকরা যেন মাঠের ফসল ঘরে তুলে নেন ৷
আরও পড়ুন : Cyclone Jawad Effect : জাওয়াদের আগাম সতর্কতায় বন্ধ হুগলির ফেরি পরিষেবা
পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-1 ও 2 ব্লক, খণ্ডঘোষ, বর্ধমান-2 ব্লক, আউশগ্রাম-2 ব্লক, গলসি-1 ও 2 ব্লক, মন্তেশ্বর-সহ বেশিরভাগ জায়গাতেই মাঠের ধান মাঠেই পড়ে রয়েছে ৷ ধান কাটা হয়েছে মাত্র 20 শতাংশ ৷ এর মধ্যে যদি ঝড়, বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে পাকা ফসল পচে যাবে ৷ বিপাকে পড়বেন কৃষকরা ৷ সেক্ষেত্রে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে তাঁদের ৷ তাই যত দ্রুত সম্ভব ফসল কেটে ক্ষেত থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন ক্ষেতমজুর ও কৃষকরা ৷