বর্ধমান, 30 সেপ্টেম্বর: শীতকালে যখন বৃষ্টি ছিল না সেই সময় থেকেই ডেঙ্গি যাতে না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল । তার ফল মিলছে এখন ৷ অন্যান্য জেলার থেকে পূর্ব বর্ধমানের ডেঙ্গি পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক । এটা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বড়ো সাফল্য বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এখনও পর্যন্ত 750 জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন । মূলত জেলা লাগোয়া নদিয়া, হুগলি জেলা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীরা এই জেলায় চিকিৎসার জন্য আসছেন । ফলে সেখান থেকে সংক্রামণ ছড়াচ্ছে । নদিয়া লাগোয়া পূর্বস্থলী 1 ও পূর্বস্থলী 2 ব্লক, হুগলি লাগোয়া কালনা 1 ও কালনা 2 ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেশি ৷ জানা গিয়েছে এই সব অঞ্চল কিছুটা নিচু হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই এলাকাগুলি প্লাবিত হচ্ছে ৷ সেই জল জমে থাকছে । পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় তার জন্য সমস্ত ব্লকেই নজর রাখা হচ্ছে । কিন্তু জেলা লাগোয়া মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, হুগলি কিংবা পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি ।
ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "আমরা সমস্ত ব্লক গুলিতেই নজর দিচ্ছি বিশেষ করে নিচু এলাকাগুলিতে । প্রশাসনিক আধিকারিকেরা সব খতিয়ে দেখছে । তবে রাজ্যের অন্যান্য জেলার থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা অনেক ভালো অবস্থায় আছে । প্রতিদিন প্রায় কয়েকশো টেস্ট করা হয় । এখনও পর্যন্ত সাড়ে সাতশো’ মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন । তবে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি । এটা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বড়ো সাফল্য ।" তিনি আরও জানান, ডেঙ্গি হওয়ার পরে নয়, শীতকাল থেকেই ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে । ফলে অন্যান্য জেলার থেকে এই জেলা অনেক ভালো অবস্থায় আছে।
আরও পড়ুন: : ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে হটস্পট চিহ্নিত করে ড্রোন দিয়ে নজরদারি প্রশাসনের
তাঁর কথার রেশ টেনেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, "ডেঙ্গি সচেতনতা নিয়ে জরুরি বৈঠক করা হয়েছে । মূলত কাটোয়া ও কালনা মহকুমার বেশ কিছু এলাকায় ডেঙ্গির একটা প্রকোপ দেখা দিয়েছে । সেখানে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন । আমাদের জনপ্রতিনিধিরাও পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে গিয়ে নিজের নিজের এলাকা দেখভাল করবেন । যাতে ডেঙ্গি জেলায় ছড়িয়ে না পড়ে সেইজন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । জেলা স্বাস্থ্য দফতরও সচেতন আছে । ফলে অন্যান্য লাগোয়া জেলা গুলির থেকে বর্ধমানের অবস্থা অনেক ভালো ।"